যেসব কারণে আপনারও স্তন ক্যানসার হতে পারে

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
'স্তন ক্যানসারের' নাম শোনেননি এমন নারী হয়তো আপনি খুঁজে পাবেন না। কারণ বর্তমান বিশ্বে নারীদের কাছে স্তন ক্যানসার একটি আতঙ্কের নাম ছাড়া আর কিছুই নয়। আর এর প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন, কিছুদিন আগে স্তন ক্যানসারের কারণে হলিউডের অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তার স্তন অপসারণ করেছেন। তাই নারীদের স্তন ক্যানসার মোটেই হালকাভাবে নেয়ার মতো কোনো বিষয় নয়। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের কারণে আপনিও রয়েছেন স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে? আসুন এ বিষয়ে জেনে নিই কিছু দরকারি তথ্য। বক্ষবন্ধনী সারাক্ষণ পরে থাকা : সারাক্ষণ বক্ষবন্ধনী পরে থাকার কারণে ঘাম নির্গত হওয়ার অসুবিধে, আর্দ্রতা জমে থাকা, সব মিলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। ঘরে থাকার সময়টুকুতে বক্ষবন্ধনী ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন। ভুল সাইজের বক্ষবন্ধনী ব্যবহার : স্তনের আকার অনুযায়ী সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করুন। কেননা নয়তো এটি আপনার স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকখানি। স্তনের আকারের চেয়ে বড় মাপের বক্ষবন্ধনী স্তনের টিসু্যগুলোকে ঠিকমতো সাপোর্ট দিতে পারে না আবার অতিরিক্ত ছোট বা টাইট ব্রা স্তনের তরলবাহী লসিকাগুলো কেটে ফেলতে পারে। লেবেল না দেখে ডিওডোরেন্ট কেনা : আজকাল কর্মজীবী নারী হোক বা শিক্ষার্থী সারাদিনের বাইরে থাকা আর সেই সঙ্গে ঘামের দুর্গন্ধ এড়াতে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেন প্রায় সবাই! এতে নিজের ফ্রেশ ভাবটা যেমন বজায় থাকে তেমনি ঘামের গন্ধের কারণে অন্য কারোর সামনেও বিব্রত হতে হয় না। কিন্তু এই ডিওডোরেন্ট কেনার সময় খেয়াল রাখুন কী কী উপাদান আছে এতে। অ্যালুমিনাম বেসড উপাদান থাকলে তা স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ডিওডোরেন্ট যেহেতু আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করেন, তাই কোন কোম্পানির পণ্যটি ব্যবহার করবেন তা আগে একজন স্কিন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জেনে নিন। পস্নাস্টিকের বক্সে সব সময় খাবার রাখা : পস্নাস্টিকের বক্সে খাবার রাখা এবং বিশেষত সেটিতেই ওভেনে গরম করা স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। এর চেয়ে কাচের পাত্র ব্যবহার করুন। আর পস্নাস্টিক ব্যবহার করতে চাইলে তা ফুড গ্রেড কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন। কেমিক্যালযুক্ত চুলের রং ব্যবহার: চুল পেকে যাওয়া বা হাল ফ্যাশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চুলে নানা রঙের ব্যবহার, যেটিই হোক না কেন, দোকান থেকে সস্তার চুলের রং কিনে আনবেন না। এতে চুল তো পড়ে যেতে পারেই, সেই সঙ্গে এতে ব্যবহৃত ক্ষতিকর কেমিক্যালের কারণে হতে পারে স্তন ক্যানসার। তাই ভালো কোম্পানির ভেষজ চুলের রং ব্যবহার করুন। আর মেহেদি ব্যবহার করলে তা একদিকে যেমন চুলের জন্য ভালো আর সেই সঙ্গে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার : ঘরের দুর্গন্ধ দূর করতে বা সুগন্ধিযুক্ত ঘর পেতে এয়ার ফ্রেশনারের ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। কিন্তু এতে থাকা প্যাথালেট নামক পস্নাস্টিসাইজিং কেমিক্যাল, যা সুগন্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে। এটির সঙ্গে স্তন ক্যানসারের সরাসরি সম্পর্ক আছে। এর চেয়ে ফুটন্ত পানিতে এক টুকর দারুচিনি ফেলে দিন। এবার দেখুন, ঘরময় কি সুগন্ধই না ছড়াচ্ছে! ন্যাপথলিনের ব্যবহার : আলমারির কাপড়চোপড় পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচাতে নেপথলিন তো আমরা ব্যবহার করেই থাকি। অনেকে আবার বাথরুমের দুর্গন্ধ এড়াতে বেসিনের সিঙ্কেও ফেলে রাখেন কয়েকটি। কিন্তু এটি পুরোটাই ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি, যা কেবল পোকামাকড়কে ১০০ মাইল দূরেই রাখে না, বরং আপনার স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ায় বহুগুণে। এর চেয়ে নিমপাতা শুকিয়ে কাগজে মুড়িয়ে রেখে দিন। একই উপকার পাবেন। কেমিক্যালযুক্ত ক্লিনার ব্যবহার : অদ্ভুত হলেও সত্যি যে, আপনার রান্নাঘরের সিঙ্ক বা কেবিনেট যে রঙিন তরল ক্লিনার দিয়ে আপনি পরিষ্কার করছেন, তাতে থাকা কেমিক্যাল কেবল আপনার স্তন ক্যানসারই নয় বরং অন্য ধরনের ক্যানসার ও বিভিন্ন ধরনের ক্রনিক রোগ, যেমন মাইগ্রেন ও এলার্জিরও জন্ম দিতে পারে। তাই কেমিক্যালযুক্ত এই ক্লিনার ব্যবহার না করে ভিনেগার বা বেকিং সোডা দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক