ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আশাপ্রদ তথ্য

প্রকাশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিজ্ঞানীদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও গবেষণার ফলে অভিনব ও উন্নত চিকিৎসার উদ্ভাবনে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম তুলনামূলক সহজ হয়ে উঠেছে। এ প্রতিবেদনে উল্লিখিত পরিসংখ্যানের ওপর চোখ বুলালে তা বুঝতে পারবেন। * ১৯৯১ থেকে ২০১২ পযর্ন্ত ক্যান্সারে মৃত্যুহার ২৩ শতাংশ কমেছে ১৯৯১ থেকে ২০১২ এর মধ্যে ১৯৯১ সালে ক্যান্সারে মৃত্যু হার সবোর্চ্চ ছিল, যখন ১০,০০০ লোকের মধ্যে ২১৫ জন ক্যান্সারে মারা গিয়েছিল। এরপর ধূমপান বজর্ন, চিকিৎসার উন্নয়ন ও তাড়াতাড়ি শনাক্তকরণের কারণে এই হার হ্রাস পেতে শুরু করে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি অনুসারে, এই ২১ বছরে ১.৭ মিলিয়নেরও বেশি মৃত্যু এড়ানো গেছে। * ৩০ শতাংশেরও বেশি ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলে, নিয়মিত ব্যায়াম করে, মদ্যপান সীমিত করে ও ধূমপান পরিহার করে আপনি ক্যান্সার বিকশিত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করতে পারেন। ওয়াল্ডর্ হেলথ অগার্নাইজেশন অনুসারে, উন্নয়শীল দেশে এইচবিভি ও এইচপিভি ভ্যাকসিন ২০ শতাংশেরও বেশি ক্যান্সার মৃত্যু কমিয়েছে। * ক্যান্সারে শিশুদের মৃত্যুহার এক দশকে বছরে ২ শতাংশ কমেছে ২০০৩ থেকে ২০১২ পযর্ন্ত কেবলমাত্র ০-১৯ বছরের শিশু-কিশোরদের ক্যান্সারে মৃত্যুহার কমেনি, প্রাপ্তবয়স্কদেরও কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট অনুসারে, ক্যান্সারে পুরুষদের মৃত্যুহার প্রতি বছর ১.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যেখানে নারীদের ১.৪ শতাংশ। * ২০০৫ থেকে ২০১১ পযর্ন্ত নিণীর্ত সব ক্যান্সারে পঁাচ বছর পযর্ন্ত বেঁচে থাকার আপেক্ষিক হার ৬৯ শতাংশ আপেক্ষিক বেঁচে থাকার হার হচ্ছে, মোট জনসংখ্যার তুলনায় ক্যান্সার শনাক্তকরণের পর ক্যান্সার রোগীদের অন্তত কিছু বছর বেঁচে থাকা। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি অনুসারে, ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ পযর্ন্ত পঁাচ বছর আপেক্ষিক বেঁচে থাকার হার ছিল ৪৯ শতাংশ। চিকিৎসায় অগ্রগতি ও তাড়াতাড়ি ক্যান্সার শনাক্তকরণের কারণে বেঁচে থাকার হার বেড়েছে। * স্তন ক্যান্সার প্রাথমিক পযাের্য় নিণের্য়র পর পঁাচ বছর আপেক্ষিক বেঁচে থাকার হার প্রায় ১০০ শতাংশ স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সাবির্ক পঁাচ বছর আপেক্ষিক বেঁচে থাকার হার হলো ৮৯ শতাংশ, যেখানে পযার্য় ০ বা ১ এর ক্ষেত্রে তা প্রায় ১০০ শতাংশ। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি, স্তন ক্যান্সার তাড়াতাড়ি শনাক্ত করার জন্য নারীদের বয়স ৪৫ হলে বাষির্ক ম্যামোগ্রাম করতে পরামশর্ দিচ্ছে। * শিশুদের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে আপেক্ষিক পঁাচ বছর বেঁচে থাকার হার ৮০ শতাংশেরও বেশি আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি অনুসারে, ১৯৭০ দশকের মধ্যভাগে পাঁচ বছর বেঁচে থাকার হার ছিল ৫৮ শতাংশ। কিন্তু অভিনব ও উন্নত চিকিৎসার কারণে এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৩ শতাংশ। পাঁচ বছর বেঁচে থাকার হার ক্যান্সারের ধরনের ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন হয়। বতর্মানে লিউকেমিয়ার (যা হলে মৃত্যু অবধারিত বলে বিবেচিত) ক্ষেত্রে পঁাচ বছর বেঁচে থাকার হার ৮৫ শতাংশ। * অÐকোষের ক্যান্সার রোগীদের ৯৫ শতাংশেরও বেশি পঁাচ বছর বেঁচে থাকেন প্রাথমিক পযাের্য় এই ক্যান্সার শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর আপেক্ষিক বেঁচে থাকার হার ৯৯ শতাংশ, এ পযাের্য় ৬৮ শতাংশ অÐকোষের ক্যান্সার নিণীর্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের সাভের্ইল্যান্স, এপিডেমিওলজি অ্যান্ড রেজাল্টস প্রোগ্রাম অনুসারে, এমনকি এই ক্যান্সারের অগ্রসর পযাের্য়র (যখন ক্যান্সার শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়েছে) ক্ষেত্রেও এই হার ৭৪ শতাংশ। য় সূত্র : ইন্টারনেট