অ্যাজমার আধুনিক চিকিৎসা

প্রকাশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সারা বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি লোক শ্বাসনালির সচরাচর সমস্যা-অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়। তাদের ৯০ ভাগের বেশি অত্যাধুনিক চিকিৎসা পায় না এবং অনেক রোগী মারা যায় যদিও এ মৃত্যুর ৮০ ভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব যদি আধুনিক চিকিৎসা ও ডাক্তারের তদারকির মাধ্যমে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়া যায়। অ্যাজমা ব্যাপারটা কি? অ্যাজমা বা হঁাপানি আসলে শ্বাসনালির অসুখ। যদি কোনো কারণে শ্বাসনালিগুলো অতিমাত্রায় সংবেদনশীল (হাইপারসেনসিটিভ) হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনায় উদ্দীপ্ত হয় তখন বাতাস চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি হয়, ফলে শ্বাস নিতে বা ফেলতে কষ্ট হয়। কেন হয়? জেনেটিক পরিবেশগত কারণে কারও কারও বেশি হয়ে থাকে। ঘর-বাড়ির ধুলো-ময়লায় মাইট জীবাণু, ফুলের বা ঘাসের পরাগ রেণু, পাখির পালক, জীব-জন্তুর পশম, ছত্রাক, কিছু কিছু খাবার, কিছু কিছু ওষুধ, নানা রকম রাসায়নিক পদাথর্ ইত্যাদি থেকে এলাজির্জনিত অ্যাজমা হয়ে থাকে। কাদের হতে পারে হঁাপানি? যে কোনো বয়সের স্ত্রী, পুরুষ, শিশু-কিশোর যে কারও হতে পারে। যাদের রক্তের সম্পকের্র আত্মীয়দের হঁাপানি আছে তাদের এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। আবার দাদা-দাদির থাকলে (বাবা-মায়ের না থাকলেও) নাতি-নাতনি বা তাদের ছেলেমেয়েরা এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। পিতৃকুলের চেয়ে মাতৃকুল থেকে হঁাপানিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। অ্যাজমায় কেন এই শ্বাসকষ্ট? আমাদের শ্বাসনালিগুলো খুবই ক্ষুদ্র। ২ মি. মি. থেকে ৫ মি. মি. ব্যাস বিশিষ্ট। চারদিকে মাংসপেশি পরিবেষ্টিত। এই ক্ষুদ্র শ্বাসনালির ভেতর দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় খুব সহজেই বাতাস আসা-যাওয়া করতে পারে। যদি কখনো এলাজির্ক বা উত্তেজক কোনো জিনিস শরীরে প্রবেশ করে তখন শ্বাসনালির মাংসপেশিগুলো সংকুচিত হয়। ফলে শ্বাসনালি সরু হয়ে যায়। তা ছাড়া উত্তেজনক জিনিসের প্রভাবে শ্বাসনালির গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় আঠালো মিউপাসজাতীয় কফ, আর ইনফেকশনের কারণে শ্বাসনালির ভেতরের দিককার মিউকাস আরবনী আঠাল কফ উঠিয়ে ফেলার লক্ষ্যে অনবরত কাশি হয়ে থাকে। কখনো কখনো এই শ্বাসনালি এত সরু হয় বাতাস বায়ুথলিতে পেঁৗছায় না, তখন শরীরে অক্সিজেনের অভাব হয়। এটা খুবই মারাত্মক অবস্থা। এ অবস্থা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলে অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক