বিকালে হাসপাতালে যাবেন না

বিকাল সময়টা হাসপাতালে যাওয়ার জন্য খুব একটা ভালো নয়। কেন আপনার বিকালে হাসপাতালে যাওয়া উচিত নয়, তা এ প্রতিবেদন পড়লেই বুঝতে পারবেন

প্রকাশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
* এটি আপনার সাকাির্ডয়ান রিদমের বিরুদ্ধে যায় লাঞ্চের পর ক্লান্তি শুরু হয় এবং কমর্ক্ষমতা বা ইচ্ছা হ্রাস পায়। আমেরিকান ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র লারা স্যান্ডন এলিট বলেন, ‘আমাদের শরীরে ন্যাচারাল রিদম বা ঘড়ি সেট করা আছে, তাই বিকেল ২-৩টার দিকে অনেকে সামান্য ঘুমপ্রবণ হয়ে পড়ে। কিছু সংস্কৃতিতে সিয়েস্তা (বৈকালিক বিশ্রাম বা ন্যাপ) আছে এবং লোকজন লাঞ্চের পর অল্প বিশ্রাম নিয়ে কাজে অধিকতর ভালোভাবে মন দিতে পারে।’ চিকিৎসক ও নাসের্দরও বৈকালিক বিশ্রামের প্রয়োজন আছে, কারণ তারা ক্লান্ত থাকলে বা অমনোযোগী থাকলে ফলাফল সবর্নাশা হতে পারে। * অ্যানেসথেশিওলজিস্টরা বেশি ভুল করে আপনার পিঠ বা হঁাটুর বড় ধরনের সাজাির্র করাতে হবে? তাহলে বিকেল ২টার আগেই এটির শিডিউল ঠিক করুন, নয়তো আপনি সাফার করতে পারেন। ওয়ান ডিউক ইউনিভাসিির্ট কতৃর্ক সম্পাদিত ৯০,০০০ হসপিটাল সাজাির্রর রিভিউ অনুসারে, অ্যানেথেসিওলজিস্টরা বিকেল ৩-৪টার সময় সাজাির্রতে তুলনামূলক অধিক ভুল করেছিল। সকাল ৯টায় একটি ভুলের পরিমাণ ছিল ১ শতাংশ, কিন্তু বিকেল ৪টায় ছিল ৪.২ শতাংশ। অ্যানেসথেশিওলজিস্টদের ভুলের কারণে রোগীদের প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ ছিল সকাল ৮টায় ০.৩ শতাংশ এবং বিকেল ৩টায় ১ শতাংশ। গবেষকরা এই ভুলকে ‘আফটারনুন সাকাির্ডয়ান লো’ নামে আখ্যায়িত করেছে, যা ফিজিশিয়ানদের সতকর্তা হ্রাস করে। * শিফট পরিবতর্ন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বিকেলে সাজাির্রর শিডিউল না করার একটি কারণ হচ্ছে, শিফট পরিবতর্ন হওয়ার সম্ভাবনা। আপনার সাজাির্র একটি টিম শুরু করতে পারে এবং অন্য টিম শেষ করতে পারে। সাজাির্রতে নতুন টিম আসার ফলে অ্যানেসথেশিওলজিস্ট ও চিকিৎসকদের দ্বারা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কিন্তু একটি টিম পুরো সাজাির্র সম্পন্ন করলে আপনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা খুব কম। * আপনাকে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করা হতে পারে এখন অধিকাংশ লোক জানে যে, প্রত্যেক অসুস্থতার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সমাধান নয়। প্রকৃতপক্ষে, অ্যান্টিবায়োটিক ভালোর চেয়েও বেশি ক্ষতি করতে পারে। জেএএমএ ইন্টারনাল মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, দিনের একেকটি ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের দ্বারা অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়, যা অনেকসময় সম্পূণর্ অপ্রয়োজনীয়, যেমনÑ ভাইরাসের ক্ষেত্রে। * ক্যান্সার শনাক্তের জন্য এটি মন্দ সময় হাসপাতাল ও জেনারেল প্র্যাকটিশনার উভয়ের ওপর বিকেলের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ১,০০০ এর বেশি কোলনোস্কপির একটি গবেষণায় পাওয়া যায়, বিকেলে চিকিৎসকদের পলিপ (যা ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে) শনাক্ত করার সম্ভাবনা কম। বিকেলের প্রত্যেকটি ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পলিপ শনাক্তকরণের হার ৫ শতাংশ করে কমে যায়। * স্টাফদের হাত ধোয়ার সম্ভাবনা কম আপনি মনে করতে পারেন যে, প্র্যাকটিশনাররা হচ্ছে পৃথিবীর সেসব লোকদের দলে যারা হ্যান্ডওয়াশিং এড়িয়ে যায় না। কিন্তু ৪,০০০-এরও বেশি কেয়ারগিভারের ওপর সম্পাদিত ২০১৫ সালের একটি গবেষণায় পাওয়া যায়, তারা সুযোগ ও পেশাগত বাধ্যবাধকতা থাকা সত্তে¡ও যতবার হ্যান্ডওয়াশ করা উচিত ততবার করেন না। বিকেলে হাত না ধোয়ার পরিমাণ আরও বেশি, যারা সকালে ডিউটি শুরু করে তাদের বিকেলে হ্যান্ডওয়াশিংয়ের হার ৩৮ শতাংশ কম। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক