নীলাদ্রি লেকে একদিন

প্রকাশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

রাফী উল্লাহ
বাংলাদেশের কাশ্মীর নীলাদ্রি। নীল রঙে রূপায়িত এই মনোরম জায়গাটির অবস্থান টেকেরঘাট, সুনামগঞ্জে। টেকেরঘাট টাঙ্গুয়ার হাওড়ের কাছে ভারত সীমান্তবতীর্ একটি স্থানের নাম। নীলাদ্রির অপরূপ সৌন্দযের্্য ডুব দিতে সুনামগঞ্জে গিয়েছিলাম আমরা কয়েক বন্ধুমহল। নীলাদ্রি নামটা যেমন সুন্দর এর রূপটাও তেমনি মোহনীয় । নিজ চোখে না দেখলে হয় বিশ্বাসই করতে পারবেন না পানির নীল প্রকৃতির মায়াবী রূপ। এখানে একটি বিশাল চুনাপাথরের খনি থাকলেও বতর্মানে খনিটির কাযর্কারিতা আর নেই। টেকেরঘাট চুনাপাথরের লেকের পানি নীল না হলেও বেশ পরিষ্কার। চুনাপাথর খননের ফলে এই লেকটির সৃষ্টি হয়। অনেকেই টাঙ্গুয়ার হাওর দেখতে আসেন সুনামগঞ্জে। কিন্তু এর পাশেই অনেক সুন্দর সুন্দর নয়নাভিরাম জায়গা আছে যা যে কোনো পযর্টকের মনকে মুহূতের্ই দোলা দিয়ে যেতে পারে। এমনই একটি জায়গা টেকেরঘাট চুনাপাথরের পরিত্যক্ত খনির লাইমস্টোন লেক। স্থানীয় লোকজন একে নীলাদ্রি লেক বলেই জানে । টেকেরঘাট চুনাপাথরের লেকের অপর প্রান্তে ভারত অবস্থিত হওয়ায় সেখানকার অধিবাসীরা গোসল করে থাকে লেকে। লেকের ভারতীয় অংশের পাহাড়ে চুনা পাথরের বিশাল খনি রয়েছে। টেকেরঘাট চুনাপাথরের লেকের বাংলাদেশ প্রান্তে প্রায় ২৫ ফুট উচ্চতার কয়েকটি কৃত্রিম ছোট টিলা রয়েছে। যা বাংলাদেশের তত্ত¦াবধানে সুন্দরভাবে সাজিয়ে পযর্টন কেন্দ্র বানানো হয়েছে। টিলার মাঝে মাঝে রয়েছে বেঞ্চ এবং ছায়া দেওয়ার জন্য বড় বড় ছাতা। টিলার পাশে রয়েছে বাংলাদেশের বিশাল চুনাপাথরের খনি। প্রচুর পরিমাণ লাইমস্টোন রপ্তানি করা হয় এই টেকেরহাট থেকেই। মাঝের টিলা আর ওপাড়ের পাহাড়ের নিচের অংশটুকু বাংলাদেশ এর শেষ সীমানা। বড় উঁচু পাহাড়টিতেই সীমানা কাটা তারের বেড়া দেওয়া আছে। এই লেকটি এক সময় চুনা পাথরের কারখানার কঁাচামাল চুনা পাথরের ভাÐার ছিল যা এখন বিলীন। নীলাদ্রি লেকের পাশেই ইন্ডিয়ার মেঘালয় পাহাড়। পাহাড় আর মেঘের মিলনে তৈরি হয় এক মনোরম পরিবেশ। নেত্র জুড়ানো এক অনুভূতি সৃষ্টি হয় মনোরম মেঘালয় দেখার পরে। সরু রাস্তা চলে গেছে পাহাড়ের কিনারা ঘেঁষে। এখান থেকে খুব পরিমাণে চুনা পাথর উঠানো হতো যার ফলে লেক অত্যাধিক গভীর। আমরা বন্ধুরা কয়েক জন নেমেছিলাম লেকে গোসল করতে। পানি খুব পরিষ্কার কিন্তু লেকের তলদেশে পাথরের সুচালো মাথা পায়ে লাগে ব্যথা হয়েছিল। ময়মনসিংহ থেকে আমরা রাত সাড়ে ৩টায় হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন দিয়ে প্রথমে মোহনগঞ্জ গেলাম। মোহনগঞ্জ থেকে লেগুনা দিয়ে গেলাম ট্রলার স্টেশনে। সেখান থেকে ট্রলারে ৪ ঘণ্টায় পেঁৗছলাম টেকেরঘাটে। ট্রলারে যাওয়ার সময় টাঙ্গুয়ার হাওরের মনোরম দৃশ্য মনকে মাতিয়ে তুলেছিল। পানির মাতাল ঢেউয়ের দোলানিতে ভালোই লাগছিল ট্রলার ভ্রমণ। সদস্য জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়