আন্তজাির্তক সাক্ষরতা দিবস

সাক্ষরতা অজর্ন করি দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি

প্রকাশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অধ্যক্ষ অতুল কৃষ্ণদাস
শিক্ষাই জাতির মেরুদÐ। জাতীয় উন্নয়নের স্বাথের্ নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হলে জাতিসংঘ ঘোষিত ৮ সেপ্টেম্বর আন্তজাির্তক সাক্ষরতা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপযর্ মূল্যায়নে নিরক্ষর ব্যক্তিদের সাক্ষরতার ব্যবস্থা করতে হবে। এদেশের অনেক লোকেই এখনো অশিক্ষা ও অজ্ঞানতার অন্ধকারে ডুবে আছে। এমন কি অক্ষর জ্ঞান নেই। এমন লোকের সংখ্যাও কম নয়। সাক্ষরতার মাধ্যমে দেশের বিপুল জনশক্তিকে দক্ষ করে তুলতে পারলে আমাদের জনসাধারণ জাতির জন্য গৌরব ও সৌভাগ্য বয়ে আনতে পারবে। আন্তজাির্তক ক্ষেত্রে ও আমাদের সুনাম বাড়বে। যে দেশের জনগণ যত বেশি শিক্ষিত, সে দেশ তত উন্নত। জ্ঞানের অভাবে মানুষ জীবনে প্রতিটি প্রতিযোগিতায় অক্ষম করে তোলে। সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করতে পারলে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব। সাক্ষরতার সাফল্য অজের্নর জন্য আমাদের দুটি পথ খোলা আছে। প্রথমত, সবর্জনীন প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সব শিশুকে বিদ্যালয়ে আনয়ন করে তাদের নিরক্ষতার পথ বন্ধ করা, দ্বিতীয়ত বয়স্ক নিরক্ষতার জনগণকে সাক্ষরতার ব্যবস্থা করা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরক্ষতার পথরোধ করার পরিপ্রেক্ষিতে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার আইন করা। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য মানুষকে জীবনের জন্য তৈরি করা। তাই নিরক্ষর লোকদের সবের্তামুখী উন্নতির কাযর্ক্রমের একটি অংশ হিসেবে আনতে হবে। সাক্ষরতার গুরুত্ব অনেক। সাক্ষরতা দানের জন্য চাই নিবেদিত প্রাণকমীর্। জনসেবার মহান ব্রতে নিজেরা উদ্বুদ্ধ হয়ে নিরক্ষর জনগণকে তারা সাক্ষরতা অজের্নর জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন, তারা আনবেন সারাদেশে ব্যাপক জোয়ার। তাই সরকারি ও বেসরকারি কমীর্, ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক ও শিক্ষিত ব্যক্তি জাতীয় কল্যাণের একই আদশের্র নিজেদের উৎসগর্ করবেন, এটাই আমাদের কাম্য। দেশের ছাত্র সমাজ মহাশক্তি হিসেবে বিবেচিত। যুগে যুগে তারা অনেক বড় বড় সংগ্রামে সাফল্য এনেছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় লাভ। তাই সাক্ষরতা অভিযানে ছাত্র সমাজকে কাজে লাগাতে পারলে সফলতা অবশ্যই আসবে। গ্রামাঞ্চলে প্রত্যেক বাড়িতেই নিরক্ষর লোক রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথমে তাদের নিজেদের বাড়ি থেকেই সাক্ষরতার কাজ শুরু করতে পারে। আপনারা সবাই আসুন আন্তজাির্তক সাক্ষরতা দিবস যথাযোগ্য মযার্দায় পালন করি। এ দিবস পালনের মধ্য দিয়ে সাক্ষরতার গুরুত্ব ও তৎপযর্ সম্পকের্ সবার সচেতনতার সৃষ্টি করি। উপদেষ্টা জেজেডি ফেন্ডস ফোরাম কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ