শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
বিজয়ের মাসে তারুণ্যের ভাবনা

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করতে হবে

ডিসেম্বর, অহঙ্কার আর গৌরবের মাস; আমাদের বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরেই সূচনা হয় বাঙালির নবজীবনের। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পরাভূত হয় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। আমরা পেয়েছি এই লাল সবুজের পতাকা। এই দেশ। স্বাধীন বাংলাদেশ। বিশ্বের বুকে আবির্ভূত হয় একটি জাতি-রাষ্ট্র বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে এই বাংলাদেশের আছে নানা অর্জন, আছে নানা চ্যালেঞ্জ। মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল দেশের তরুণ সমাজ। বিজয়ের মাসে কী ভাবছেন তরুণরা? তাদের ভাবনা জানার চেষ্টা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের সদস্য আসিফ হাসান রাজু
নতুনধারা
  ১৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০
মেহেদী হাসান শাওন

বিজয়ের ৪৯তম বর্ষ উদযাপন করতে চলেছি আমরা। যে বিজয়োলস্নাস প্রতি বছর এই নির্দিষ্ট সময় আমরা করি- তা অর্জিত হয়েছিল ৪৯ বছর আগে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর। এই বিজয়টা সেই স্বাধীনতার, সেই মুক্তির উলস্নাস। আমাদের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল সব ধরনের অধীনতা থেকে মুক্তি। পরাধীনতার সব শৃঙ্খল ভেঙে যে স্বাধীনতার বিজয়োলস্নাস আমরা করছি, সেই স্বাধীন নামক দেশে আমরা আসলে কতটা স্বাধীন, কতটা অধীনতা মুক্ত? আমরা আজ বাকস্বাধীনতায় কতটা স্বাধীন, সাম্প্রদায়িকতা থেকে কতটা মুক্ত, সামাজিক বৈষম্য থেকে কতটা মুক্ত, ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে কতটা স্বাধীন, অন্যায়-উৎপীড়ন থেকে কতটা মুক্ত? তরুণ মনে যখন এই প্রশ্নগুলো জাগে তখন প্রশ্নবিদ্ধ হয় আমার বিজয়োলস্নাসের সার্থকতা! বিজয় অর্জনের ৪৯তম বছরে আমরা হয়তো অনেক খাতেই উন্নয়ন করতে পেরেছি কিন্তু সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমরা কতটা সফল হতে পেরেছি? প্রশ্ন রয়ে যায় তনুমনে।

\হসেই অমিয় বাণীটি 'স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন' আজও আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের প্রেক্ষিতে মিলে যায়। একটি স্বাধীন দেশে হবে গণতন্ত্রের চর্চা, থাকবে সুবিচারের নিশ্চয়তা, রবে নাগরিক অধিকারের পূর্ণতা, দেশের স্বার্থে বলবৎ থাকবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। তবেই অর্জিত হবে স্বাধীনতা, বিজয়ের সার্থকতা। আর এই সার্থকতা অর্জনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে দেশের শাসকগোষ্ঠী এবং এই শাসকগোষ্ঠীই পারে সুশাসনের মাধ্যমে দেশের মূল কান্ডারি তরুণদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে। আমাদের তরুণদেরও উচিত বিজয়ের মাসে শপথ নিয়ে ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে স্বাধীনতার চেতনাকে লালন করে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর কাজ করা।

মেহেদী হাসান শাওন

নৃবিজ্ঞান বিভাগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

সদস্য, জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে