বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
বিজয়ের মাসে তারুণ্যের ভাবনা

অপশক্তি রুখে দিতে নব প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে

১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন করে পরিচিত হয় বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র। ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, ২ লাখ ৭৬ হাজার মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের এ বিজয় এবং সূচনা হয় বাঙালির নবজীবনের। মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল দেশের তরুণ সমাজ। বিজয়ের মাসে কী ভাবছেন বর্তমান সময়ের তরুণরা? তাদের ভাবনা জানার চেষ্টা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যায়যায়দিনের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম
নতুনধারা
  ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০
রাকিব উদ্দিন

মুক্তিযুদ্ধের গল্প আমি শুনেছি আব্বা-আম্মার কাছে। শুনে শুনে একটা চিত্র মনের মাঝে ধারণ করেছি। আমি মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের উলস্নাস দেখিনি। কিন্তু মনের মধ্যে তৈরি হয়েছে এক অন্য রকম অনুভূতি। কোনো বিশেষ দিনে নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সারা বছর আমি আমার মনে ধারণ করি। আমাদের পরের যে প্রজন্ম আছে তাদের কথা একবার ভাবুন তো। হয়তো তারাও একদিন মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনবে আমার মতোই কারও কাছ থেকে। যিনি নিজেই সেটা স্বচক্ষে দেখেননি।

তাদের মনে সেই চিত্র, সেই অনুভূতি তৈরি হওয়া কিন্তু আরও অনেক কঠিন। আর সেই প্রজন্মের বাচ্চাগুলো তারা যদি কোনো মুক্তিযুদ্ধবিরোধী লোকের কাছে ইতিহাস শুনে তাহলে বিষয়টা আরও কঠিন।

একটা বিরাট সম্ভাবনা থাকে তাদের মনে এই শেকড় উপড়ে যাওয়ার। শেকড়টা যাতে উপড়ে না যায় সেই চেষ্টা করার দায়িত্ব আমাদের। মুজিবর্ষের বিজয়ের মাসে আমাদের রুখে দিতে হবে স্বাধীনতাবিরোধীদের।

আর এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি আমাদের নতুন প্রজন্মকে আজীবন স্মরণ করিয়ে দেবে এবং জাগ্রত করবে তাদের বিজয়ের চেতনা। অর্ধশত বছরের প্রাক্কালে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে তারা আরও বেশি অবদান রেখে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সমৃদ্ধ আগামীর পথে।

রাকিব উদ্দিন

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

সদস্য, জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে