বিজয়ের মাসে তারুণ্যের ভাবনা

বিজয়কে সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন করতে হবে

১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন করে পরিচিত হয় বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র। ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, ২ লাখ ৭৬ হাজার মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের এ বিজয় এবং সূচনা হয় বাঙালির নবজীবনের। মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল দেশের তরুণ সমাজ। বিজয়ের মাসে কী ভাবছেন বর্তমান সময়ের তরুণরা? তাদের ভাবনা জানার চেষ্টা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যায়যায়দিনের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম

প্রকাশ | ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
উম্মে সালমা আক্তার
'বিজয়'- যা অর্জিত হয়েছে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে। যা আমাদের উপহার দিয়েছে লাল-সবুজ পতাকা ও স্বাধীন একটি ভূখন্ড। বিজয় লাভের মধ্য দিয়েই আমরা পেয়েছি স্বাধীন সোনার বাংলাদেশকে। ডিসেম্বর হলো আত্মত্যাগ, গৌরব-অহংকারের মাস; বিজয়ের মাস। যে বিজয়ের জন্য সাত কোটি বাঙালিকে বেছে নিতে হয়েছিল সংগ্রামের পথ। যে মানচিত্রের জন্য সম্ভ্রম হারাতে হয়েছিল দুই লাখ মা-বোনকে, সেই বিজয়ের মর্যাদা রক্ষা করার দায়িত্ব তরুণদের। নতুন প্রজন্মের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভালো করে জানেন না। আমাদের সবাইকে বিজয় দিবসের চেতনা ও অর্জনকে ধারণ করে নতুনদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের কথা তুলে ধরতে হবে।মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি ছিল- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। কিন্তু বিজয়ের ৪৯ বছর পরও আমরা কি পেরেছি অন্তত মুক্তিযুদ্ধের এই মূলনীতিগুলো রক্ষা করতে? এখনো পর্যন্ত মানুষের মৌলিক অধিকারের সুষ্ঠু প্রতিষ্ঠা হয়নি। বাকস্বাধীনতা, জনগণের নিরপত্তা, সাম্যতা, সুষ্ঠু নির্বাচন প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি অনিয়মে ভরপুর। দেশে শিক্ষার হার বাড়লেও, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। বাড়ছে ধর্ষণ। কিন্তু ন্যায়বিচার পাচ্ছে না ধর্ষিতারা। সঠিক জবাবদিহিতার অভাবে প্রশাসনিক দুর্নীতি বাড়ছে। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্মেকেই এগিয়ে আসতে হবে এ দেশের বিজয়কে সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন করতে। উম্মে সালমা আক্তার লোক প্রশাসনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সদস্য, জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম।