বিজয়ের মাসে তারুণ্যের ভাবনা

দুর্নীতির বিরুদ্ধে চাই শুদ্ধি অভিযান

১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন করে পরিচিত হয় বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র। ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, ২ লাখ ৭৬ হাজার মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের এ বিজয় এবং সূচনা হয় বাঙালির নবজীবনের। মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল দেশের তরুণ সমাজ। বিজয়ের মাসে কী ভাবছেন বর্তমান সময়ের তরুণরা? তাদের ভাবনা জানার চেষ্টা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যায়যায়দিনের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম

প্রকাশ | ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মিনহাজুল ইসলাম তুহিন
হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমাদের বিজয় অর্জনের ৪৯টি বছর পেরিয়েছে। আগামী বছর আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব। তবে যে প্রত্যাশা নিয়ে এ দেশের মানুষ একাত্তরের রণাঙ্গনে নিজেদের বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছে তা এখনো পূর্ণ হয়নি। আমরা উপলব্ধি করছি, আসলে আমরা এখনো পুরোপুরি স্বাধীন হইনি। গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজদের কাছে আমরা এখনো পরাধীন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকার রেকর্ড পরিমাণ বরাদ্দ দিচ্ছে। উন্নয়নের কর্মযজ্ঞও চলছে। তবে এর সঠিক সুফল পাওয়া যাচ্ছে না কিছু অসৎ দুর্নীতিবাজের কারণে। একদিকে দেশ যেমন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে তারা পিছিয়ে দিচ্ছে। আমরা যদি জাতি, ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে লড়াই করি, তাহলে তাদের হটিয়ে সুন্দর একটি দেশ গড়া মোটেও কঠিন হবে না। আর এ কাজগুলোর জন্য তরুণ সমাজকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। তরুণরাই পারে বাংলাদেশকে একটি সুখী-সুন্দর দেশ হিসেবে গড়ে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যেতে। যেখানে বিশ্ববাসী অবাক দৃষ্টিতে আমাদের সাফল্য দেখবে আর আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারব আমরাও পারি নতুন কিছু করতে। মিনহাজুল ইসলাম তুহিন আরবি বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সদস্য, জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম।