শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নারীমুক্তি হোক নারী দিবসের অঙ্গীকার

রুকাইয়া মিজান মিমি, ঢাকা।
  ০৯ মার্চ ২০২১, ০০:০০

বিশ্বব্যাপী নারীদের যথাযথ মর্যাদা দিতে, তাদের কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ও তাদের উপযুক্ত মূল্যায়নের জন্যই প্রতি বছর ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস পালিত হয়ে আসছে। এ দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছিল ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘের কাছ থেকে। এরপর থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকমভাবে উদযাপন করা হচ্ছে এই নারী দিবসকে। কোথাও কোথাও এটি উদযাপিত হয় একটি আনন্দ-উৎসব রূপে, নারীদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য; আবার কোথাও কোথাও উদযাপন করার মূল কারণ হচ্ছে নারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি নিশ্চিত করা, তাদের ন্যায্য অধিকার দেয়া। যেভাবেই উদযাপিত করা হোক না কেন এর মূল লক্ষ্যই হলো নারী ও পুরুষের বাহ্যিক ভেদাভেদ দূর করে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা করা এবং একটি আদর্শ সমাজ গঠন করা।

বাংলাদেশেও প্রতি বছর নানারকম কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে আসছে এ দিনটি। এসব কার্যক্রম মূলত নারীদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক মুক্তিকে ত্বরান্বিত করা। তবে এ কার্যক্রমের প্রয়োগ কতটা বাস্তবায়িত হচ্ছে তা প্রশ্নের সম্মুখীন! এ দেশে এখনো নারীরা একা পথ চলতে ভয় পায়। শিশু থেকে বৃদ্ধ কেউই কুৎসিতরূপী ধর্ষকদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। উচ্চশিক্ষা অর্জনে তারা বাধার মুখে পড়ছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে নারীরা। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু বদলে যায় তবুও বদলায়নি কিছু মানসিকতা, কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজব্যবস্থা। বাল্যবিবাহের কবলে পড়ে অকাল মাতৃত্বের শিকার হচ্ছে এখনো নারীসমাজ।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ থেকে মুক্তির পথ সুগম করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কোনোভাবেই ভোলা যাবে না নারীরা এ সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারাও অপরাজেয়! কর্মক্ষেত্রে নারীর মর্যাদা যাতে বৃদ্ধি পায় সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। সমাজে সঠিক শিক্ষা ছড়িয়ে কুসংস্কার ও বাল্যবিবাহ নির্মূল করতে হবে। প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগের দ্বারা ধর্ষকশ্রেণিকে নির্মূল করতে হবে। সর্বোপরি, যথাযথ সব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে নারী মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবেই সফল হবে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে নিয়ে সব কার্যক্রম। একদিন এ সমাজেও নারী-পুরুষের কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। সোনার বাংলা হবে একটি আদর্শ সমাজের রূপরেখা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে