রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুদের আড্ডা

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

আসিফ হাসান রাজু
যান্ত্রিক জীবনে একটু প্রশান্তির ছেঁায়া দেয় বিকালের আড্ডা
শনিবার বিকেল বেলা। শহীদ মিনারের এক পাশে গোল হয়ে বসে আড্ডা, গানে মেতে আছে কয়েকজন তরুণ। যাদের মুখে ফুটে উঠেছে এক আনন্দের ছাপ। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সমসাময়িক ইস্যু, কারো জীবনের আত্মকাহিনী, কারো ভালোবাসার মানুষককে নিয়ে মজা করা, এমন নানা বিষয়কে নিয়ে জমে উঠে সাধারণত ক্যাম্পাসের আড্ডা। বিকেলের আড্ডাকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করে তোলে আড্ডার ফঁাকে ফঁাকে গান। কেউ গান করছে, তার সঙ্গে গলা মিলিয়ে তাল মিলায় অন্যরাও। ক্যাম্পাস জীবনে এ এক অন্য রকম পাওয়া। লুকায়িত প্রতিভাকে আবিষ্কার করা যায় আড্ডার ফঁাকে। যান্ত্রিক জীবনে একটু প্রশান্তির ছেঁায়া দেয় বিকেলের আড্ডা। এমনি আড্ডায় মেতে উঠেছিল এদিন বিশ্ববিদ্যালয় যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের সদস্যরা। সারাদিন ক্লাস, পরীক্ষা শেষ করে প্রিয় মানুষের সঙ্গে বসে আড্ডা যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায় বলে মন্তব্য করেন এ ফোরামের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন। ফোরামের আরেক সদস্য রেজওয়ান বারী বলেন, ‘সময়ের বঁাকে সময় চলে যাবে, ক্যাম্পাসে স্মৃতি হিসেবে থাকবে ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, বড় ভাইদের সঙ্গে কাটানো মধুর স্মৃতিগুলো। ক্যাম্পাসে শুধুমাত্র একজন শিক্ষাথীর্র ছাত্র পরিচয় নয় বরং যে কোনো একটি সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রয়োজন। বিকেলে এমন আড্ডা শুধুমাত্র হাসি তামাশার জন্য নয়, জীবনের নানা দিক এই আড্ডা থেকে উঠে আসে। নিজেদের বন্ধন আরও দৃঢ় করে’। ভালোবাসার এ সম্পকর্গুলো মাঝে মাঝে রক্তের সম্পকের্ক হার মানায়, এমন মন্তব্য করে ফোরামের আরেক সদস্য মহিউদ্দিন মানিক বলেন, ‘যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম এক ভালোবাসার নাম। আমরা এখানে সবাব আলাদা আলাদা বিভাগের। কিন্তু সবার সঙ্গে আমাদের সম্পকর্ অনেক মধুর করেছে এই ফোরামের ছঁায়াতল। বিকেলের আড্ডার সঙ্গে গানের যে সৌন্দযর্্য তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। জীবনকে বুঝতে হলে জীবনকে উপভোগ করতে হবে। জীবনকে উপভোগের অন্যতম মাধ্যম হলো বিকেলের আড্ডা’। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষাথীের্দর নিয়ে গঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের সদস্যরা মাসিক সভা শেষে এদিন বিকেলে প্রাণবন্ত আড্ডায় মেতে উঠেছিল। সংগঠক, জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়