আনন্দ ভ্রমণে পূবর্ধলার বন্ধুরা

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

মো. জায়েজুল ইসলাম
মৌওসুমের শুরুতেই নেত্রকোনার পূবর্ধলা উপজেলার ফ্রেন্ডস ফোরামের উদ্যোগে আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যকে কাছে থেকে উপভোগ করার জন্য এ বছর একইদিনে ময়মনসিংহ জেলার ফুলাবাড়ীয়া উপজেলার সন্তোষপুরের রাবার বাগান, বানরের অভয়াশ্রম, আনারস বাগান, কেশরগঞ্জের আলাউদ্দিন পাকের্ক নিবার্চন করা হয়। তারিখ ছিল ৬ নভেম্বর মঙ্গলবার। সকাল ৮টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধুরা সপরিবারে উপজেলার খাদ্যগুদাম রোডে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার উপজেলার প্রতিনিধি মো. জায়েজুল ইসলামের মালিকানাধীন আপন অফসেট প্রিন্টিং প্রেসে এসে মিলিত হয়। পরে ৯টার বাজার সঙ্গে সঙ্গেই মাইক্রোযোগে সবাই রওনা হই কাক্সিক্ষত স্থানের উদ্দেশ্যে। আমাদের দলে ছিলেন ফোরামের আহŸায়ক মো. জাকির আহমদ খান কামাল, সদস্য গোলাম মোস্তফা, আল আমিন জুয়েল, মো. মঞ্জুরুল হক, কামরুন্নাহার, আছমা বেগম, ঝনার্, মুন্নি, রাইয়া মনি, রাইসা মনি, রুবাইয়া, নূর উদ্দিন। দুপুর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফুলবাড়ীয়া সদর হয়ে সন্তোষপুরের রাবার বাগানে গিয়ে পেঁৗছি। বাগানের ভেতর দিয়ে কিছুদূর যেতেই রাস্তা ভালো না থাকায় আমাদের মাইক্রো থেকে নেমে হঁাটতে হয়েছে। এ সময় একজন পথচারী আমাদের দেখে রশিকতা করে বললেন ‘আপনারা বানরের অফিসে যাচ্ছেন বুঝি’। আমরা উত্তরে সায় দিলে তিনি দিকনিদের্শনা দিয়ে দিলেন। জানতে পারলাম জায়গাটাকে কেউ বানরপাড়া বা বানরের অভয়াশ্রমও বলে থাকে। অবশেষে সেই কাক্সিক্ষত স্থানে যেতেই দেখলাম শত শত বানর এদিক ও দিক ছোটাছুটি করছে। একজন অস্থায়ী দোকানদার বিভিন্ন মালের পশরা সাজিয়ে বসে আছেন। এই দোকানকে ঘিরেই বানরদের এখানে আনাগুনা। অগত দশর্নাথীর্রা দোকান থেকে এসব বানরকে এটা ওটা কিনে দেয়। তা খেয়ে তারা তৃপ্তি পায়। দেখতে দেখতে হঠাৎ অনুভব করলাম, একটি বানর আমার কঁাধে এসে বসে পড়ল, তারপর দোকান থেকে বিস্কুট কিনে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা নিয়ে গাছের মগডালে চলে গেল। এভাবে বানরের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে কিছুক্ষণ সময় কাটালাম; তারপর আরও কিছুক্ষণ বনের দৃশ্য দেখে এখান থেকে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সীমান্তবতীর্ জায়গায় কেশরগঞ্জের আলাউদ্দিন পাকের্র উদ্দেশে রওনা দিলাম। পথিমধ্যে সন্তোষপুর কান্দুরবাজারে যাত্রাবিরতি দিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। পরে আবার রওনা হয়ে বিকেলে এসে পেঁৗছলাম আলাউদ্দিন পাকের্। জনপ্রতি ২০০ টাকা করে টিকেট কেটে সবাই ভেতরে ঢুকলাম। ভেতরের সুসজ্জিত বৃক্ষরাজি সবার মন কাড়ে। পরে মিনি চিড়িয়াখায় জীবজন্তু দেখে সবার খুব ভালো লাগল। অনেক ঘুরোঘুরি করে সবাই যখন খুব ক্লান্ত তখন গাছের ছায়ায় বসে একটু বিশ্রাম নেয়া হলো। পরে বাচ্ছাদের নিয়ে বিভিন্ন রাইডে চড়ে আলাদা আনন্দ উপভোগ করল সবাই। এবার বাড়ি ফেরার পালা। কেননা, সন্ধ্যা নেমে আসছে। সবাই মিলে গাড়িতে চড়ে বসলে মাইক্রোচালক নিজবাড়ি উদ্দেশে রওনা দিলে রাত ৯টার দিকে সুন্দরমতো সবাই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাই। উপদেষ্টা জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম পূবর্ধলা, নেত্রকোনা