সীতাকুÐে বন্ধুদের আনন্দ আড্ডা

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

সবুজ শমার্ শাকিল
খামার মালিক মঞ্জু ভূঁইয়াসহ মাল্টা ফলের বাগানে জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম বন্ধুরা
চোখের দৃষ্টি সীমানা যতটুকু প্রসারিত তার চারপাশে শুধুই সবুজের সমাহার। ফুল আর ফলে শোভিত হয়ে আছে ফসলের মাঠ। দিগন্ত জোড়া সবুজের পাশ ঘেঁষে আপন মহিমায় মাথা উঁচু করে ঠঁাই দঁাড়িয়ে আছে সবুজের সমাহারে বেষ্টিত পাহাড়। প্রকৃতির এ অপরূপ শোভা বেষ্টিত বৈচিত্র্যময় পরিবেশের একান্ত সান্নিধ্য লাভে সিরাজ ভূঁইয়ার খামারবাড়িতে আনন্দ আড্ডায় দিনব্যাপী সময় পার করলেন জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম সীতাকুÐের বন্ধুরা। ফোনালাপের মাধ্যমে বন্ধুদের সম্মতি আদায়ের পর বুধবার সকালে সবাই একসঙ্গে ছুটে যান রহমত নগর এলাকার সিরাজ ভূঁইয়ার খামারবাড়িতে। খামারবাড়িতে যাওয়ার আগেই ফ্রেন্ডস ফোরাম বন্ধুদের জন্য আতিথিয়তার সব ব্যবস্থা করেন খামার মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী আবুল ফজল মোহাম্মদ মঞ্জু ভূঁইয়া। এ সময় তিনি আগত বন্ধুদের অভ্যথর্নার পর তাদের চা, নাস্তা ও বাগানের সতেজ ফল খেতে দেন। নাস্তা শেষে বাগানের পাশ্বর্বতীর্ শান বঁাধানো পুকুর ঘাটে বসে মুক্ত আলোচনায় মেতে উঠেন ফ্রেন্ডস ফোরাম বন্ধুরা। জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম উপদেষ্টা ও সীতাকুÐ প্রতিনিধি সবুজ শমার্ শাকিলের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম বন্ধু ও ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির, ফ্রেন্ডস ফোরাম বন্ধু ও বাড়বকুÐ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শিক্ষক খুরশিদ আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী আবুল ফজল মোহাম্মদ মঞ্জু ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মো. জামশেদ রহমান, যুবলীগ নেতা মো. মামুনুর রশিদ ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হান্নান প্রমুখ। মুক্ত আলোচনায় বন্ধুরা বলেন, বিধাতার অপূবর্ সৃষ্টির মধ্যে প্রকৃতির সৌন্দযর্ অতুলনীয়। প্রকৃতির নিবিড় ছেঁায়া আর বুক উজার করা সৌন্দযর্ মুহ‚তের্ই ভুলিয়ে দেয় জীবনের যাবতীয় হতাশা। একের পর এক দুঃখ যখন মানুষের জীবনকে যন্ত্রণাময় করে তখনই মানুষ ছুটে যায় প্রকৃতির বুকে। প্রকৃতির একান্ত সান্নিধ্যই মানুষের মনের সব গøানি ও হতাশাকে দূর করে নতুনভাবে বঁাচতে শেখায়। মুক্ত আলোচনা শেষে বন্ধুরা ছুটে যান খামারবাড়ি সংলগ্ন ফলের বাগানে। পাহাড় সংলগ্ন ৬ একর অনাবাদী জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির দৃষ্টি নন্দন ফলের বাগানের সৌন্দযর্ দেখে বিমোহিত হয়ে পড়েন উপস্থিত সব বন্ধু। মালিকের অনুমতি নিয়ে বন্ধুরা কুলবাগানে ভেতর ঢুকে পড়েন। বাগানের ভেতর থাকা আপেল কুল, বাউকুল ও থাইকুল গাছে ঝুলে থাকা কুল থেকে পছন্দ মতো কুল ছিঁড়ে নেন বন্ধুরা। ঘুরাফেরার একপযাের্য় ক্ষুধাতর্ হয়ে পড়েন বন্ধুরা। এ সময় দুপুরের খাবারের জন্য বন্ধুদের নিয়ে যাওয়া হয় খামারবাড়ির অতিথিশালায়। অল্প সময়ের মধ্যে মঞ্জু ভাই দেশি মুরগি, রুই মাছসহ রান্না করা হরেক পদের শীতকালীন তরকারী বন্ধুদের পাতে তুলে দেন। বন্ধুরা তাদের নিজেদের পছন্দমতো স্থানে ভাতের প্লেট নিয়ে বসে সারেন ভুঁড়িভোজ। খাবার পর বন্ধুরা আবারো খামারবাড়ির ফলবাগান ঘুরতে যান। এ সময় তারা মঞ্জু ভাইয়ের গড়ে তোলা বারী ওয়ান ও আমেরিকান প্রজাতির মাল্টা বাগান ঘুরে দেখেন। বাগানের অধিকাংশ গাছে থোকায় থোকায় ধরে থাকা মাল্টার অপরূপ শোভা মুহ‚তের্ই মন কাড়ে বন্ধুদের। পড়ন্ত বিকেলে বন্ধুরা ঘুরে দেখেন ৭০ শতক জমি জুড়ে গড়ে তোলা পাতি, এলাচি ও হাইব্রিড কাগজি লেবুর বাগান। এ সময় বন্ধুরা নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রজাতির লেবু সংগ্রহ করেন বাড়ির জন্য। দীঘর্ ঘুরাফেরা শেষে চা চক্রের পর খামার মালিককে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পুনরায় নিজ নিজ গন্তব্য ফিরে যান বন্ধুরা। উপদেষ্টা জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম সীতাকুÐ, চট্টগ্রাম