ভোলায় ফ্রেন্ডস ফোরামের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

নুরে আলম ফয়জুলস্নাহ
কমিটি গঠন শেষে ভোলার বন্ধুরা
'বন্ধুত্ব করি দেশ গড়ি'- এই সেস্নাগানকে সামনে রেখে ভোলায় যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি রোববার সকালে ভোলা সদর রোডস্থ জাহাঙ্গীর পস্নাজায় হোটেল জেড ইন্টান্যাশনালের হল রুমে এ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। যায়যায়দিন স্টাফ রিপোর্টার নুরে আলম ফয়জুলস্নাহর সভাপতিত্বে ফ্রেন্ডস ফোরামের আহ্বায়ক কমিটি গঠনে জন্য আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলা বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রাচীন গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ বলে পরিচিত। দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র গ্যাসসমৃদ্ধ অঞ্চল ভোলা। অন্য জেলার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম নৌযান। গাঙ্গেয় অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত দেশের একমাত্র দ্বীপ ভোলা। চারদিকে নদী পরিবেষ্টিত এ জনপদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য আবহমান বাংলার অন্যান্য অঞ্চলের মতোই। কিন্তু দেশের অন্যান্য জেলার সাথে সরাসরি কোনো রাস্তাপথে যোগাযোগ নেই। এখানকার লোকজন মনে করেন দেশের মধ্যে বিচ্ছিন্ন একটি অঞ্চল। তাই ভোলাবাসীর পক্ষ থেকে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের বন্ধুরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রাণের দাবি জানাচ্ছেন যেন বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপটি বরিশালের সঙ্গে ব্রিজের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়। মেঘনা, তেঁতুলিয়াবিধৌত বঙ্গোপসাগরের উপকূলে জেগে ওঠা এ চরটি প্রায় ৯০ মাইল দৈর্ঘ্য ও ২৫ মাইল প্রস্থ। এ ভূখন্ডের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি সমতল ভূমি। প্রাকৃতিকভাবে এ অঞ্চলটি সত্যিই অপরূপ। ভোলা জেলার নামকরণের পেছনে স্থানীয়ভাবে একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। ভোলা শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বেতুয়া নামক খালটি এখনকার মতো অপ্রশস্থ ছিল না। একসময় এটি পরিচিত ছিল বেতুয়া নদী নামে। খেয়া নৌকার সাহায্যে নদীতে পারাপার চলত। খুব বুড় এক মাঝি এখানে খেয়া নৌকার সাহায্যে লোকজন পারাপার করতেন। তার নাম ছিল ভোলা গাজী পাটনী। আজকের যোগীরঘোলের কাছেই তার আস্তানা ছিল। এই ভোলা গাজীর নামানুসারেই এক সময় স্থানটির নাম হয় ভোলা। প্রাকৃতিক অনেক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েও ভোলাবাসী এখনো আশার আলো দেখতে চান। এ নৈস্বর্গিক দ্বীপ ভোলা জেলায় মূল্যবান প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ শুধু জেলাবাসীর জন্যই নয়, সমগ্র দেশের জন্য আশানুরূপ সুফল বয়ে আনার প্রত্যাশা রাখে। ভোলার দক্ষিণে চর কুকরী-মুকরী, ঢালচর, লতার চর ও চর নিজামসহ অসংখ্য চর, যা নৈসর্গিক দৃশ্যসম্বলিত। এ চরগুলো হতে পারে পর্যটনের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। আলোচনা শেষে ভোলা পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক ও ভোলা জেলা সিএইচ সিপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাকসুদুর রহমান জিলাদারকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক ভোলা জেলা ডিএফএ নির্বাহী সদস্য আব্দুল মালেক, শিক্ষক আরিফুর রহমান ও আব্দুল হাই। যুগ্ম সদস্য সচিব বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এহসানুল হক সাদ্দাম ও ভোলা জেলা ক্রিকেট কোচ ডি এস এ মো. মাইন উদ্দিন। সদস্য- বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নিরব ভূঁইয়া, মো. হাসনাইন, মো. শাহাবুদ্দিন, ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন আহাম্মদউলস্নাহ, মো. মাহমুদ, ফজলুর রহমান মিলন, ফাইয়াজ আলম ইয়াপি, মো. মনির উদ্দিন, মাওলানা গোলাম সরোয়ার, ইব্রাহীম আকতার আকাশ, কামরুল ইসলাম, মো. সোহেল, মো. সাইদ মাহমুদ ও মজিবুর রহমান। সবশেষে বন্ধুদের আশা ও বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোলা জেলাকে বরিশালের সঙ্গে ব্রিজ দিয়ে সংযুক্ত করবেন। উপদেষ্টা ফ্রেন্ডস ফোরাম, ভোলা।