সীতাকুন্ডে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

সবুজ শর্মা শাকিল
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধনে বন্ধুরা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশে অপ্রত্যাশিত সড়ক দুর্ঘটনা ঠেকাতে করণীয় পদক্ষেপ গ্রহণসহ ৭ দফা দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও সেবক। মহাসড়কের দুর্ঘটনা রোধে আয়োজিত এ মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশের পাশাপাশি মানববন্ধন সফলে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছেন জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম সীতাকুন্ডের বন্ধুরা ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। সোমবার সকাল ১১টায় মহাসড়কের ফৌজদারহাট জলিল গেট এলাকায় যৌথভাবে আয়োজিত এ মানববন্ধন শেষে ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে হাইওয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পুলিশ সুপারের মাধ্যমে অতিরিক্ত আইজিপি কে স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনগুলো। মানববন্ধনে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোখতার হোসাইনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম উপদেষ্টা ও সীতাকুন্ড প্রতিনিধি সবুজ শর্মা শাকিল, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ মামুন, সীতাকুন্ড সমিতি চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি লায়ন মো. গিয়াস উদ্দিন, সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী, সেবক চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল আলম, উত্তর জেলা সদস্য সচিব সুজন মলিস্নক, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের হাবিবুর রহমান, রুচমিলা আক্তার ও সাইদুল ইসলাম প্রমুখ। মানববন্ধনে ফ্রেন্ডস ফোরাম উপদেষ্টা সবুজ শর্মা শাকিল বলেন, মুজিববর্ষ শুরু হওয়ার প্রথম মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশে ১৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ১৫ জন, আহত হয়েছেন ৩০ জন। যানবাহনের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়লেও মহাসড়কে যান চলাচলে প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হচ্ছে না। দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হচ্ছে। একটি দুর্ঘটনা শুধু প্রাণই কেড়ে নেয় না, একটি পরিবারকে তছনছ করে দেয়। আর পঙ্গু হলে সারাজীবন তা বয়ে বেড়াতে হয়। ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালালে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব। তাই দুর্ঘটনা রোধে চালক-যাত্রী ও পথচারীদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশকেও আরো আন্তরিক হতে হবে। যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী বক্তব্যকালে বলেন, দুর্ঘটনা রোধে ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের মুখে বসানো জেলা পুলিশের পুলিশ বক্সটি সরিয়ে পাশে খালি জায়গায় নিতে বলেন। এ ছাড়া ভাটিয়ারী এলাকায় আন্তঃজেলার দূরপালস্নার বাসগুলো ও সীতাকুন্ডের লোকাল যানবাহনগুলো মহাসড়কের উপর যত্রতত্র এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা বন্ধের পাশাপাশি এসব এলাকায় তিন শিফটের মাধ্যমে হাইওয়ে পুলিশের ডিউটি বণ্টন করতে হবে। বারআউলিয়া এলাকায় রাস্তার দুইপাশে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী গাড়ি পার্কিং বন্ধ করতে হবে। বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার সামনে চট্টগ্রামমুখী মহাসড়কে যাওয়ার জন্য একটি সংযোগ সড়ক তৈরি করে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এই সংযোগ সড়কে কোনো সিগন্যাল না থাকায় ট্রাক ও লরি সরাসরি মহাসড়কে উঠে যাচ্ছে, যার ফলে চট্টগ্রামমুখী যানবাহনগুলো দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকে। এ ছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে দুই মহাসড়কের মাঝখানে একটি ওজন স্কেল স্থাপন করা হয়েছে। এই ওজন স্কেলের দুই পাশ থেকে ট্রাক ও লরি প্রবেশ করে এবং বের হয়- যার ফলে চট্টগ্রামমুখী ও ঢাকামুখী দুইপাশেই যানবাহনে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়াও মহাসড়কে সীতাকুন্ড অংশে সিসি টিভি স্থাপনের মাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয় ও বেপরোয়া গতিতে চলাচলকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশে সড়কের মাঝখানে অবৈধ মিডিয়াম গ্যাপ অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। বড়দারোগার হাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওজন স্কেল থাকায় এই এলাকায় যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোর চলাচলের জন্য সন্ধ্যার পরে একটি লেন খালি রাখা ও এ এলাকায় সার্বক্ষণিক হাইওয়ে পুলিশের ডিউটি বণ্টনের আহ্বান জানান। উপদেষ্টা জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম।