সীতাকুন্ডে ফ্রি বস্নাড গ্রম্নপিং

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুন্ড
সীতাকুন্ডে রক্তের ফেরিওয়ালা খ্যাত সংগঠন 'সীতাকুন্ড বস্নাড ডোনেট সোসাইটির' আয়োজনে পৌরসদরস্থ এভারগ্রিন কে জি স্কুলে ফ্রি বস্নাড গ্রম্নপিং নির্ণয় কর্মসূচি বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের ব্যতিক্রমী এ কর্মকান্ডে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়ান জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম বন্ধুরা। এতে স্কুলের প্রায় দেড় শতাধিক ক্ষুদে শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রম্নপ নির্ণয় করা হয়। রক্ত সংগ্রহকালে ছোট্ট সোনা মণিরা যখন ভয় পেয়ে কান্নাজুড়ে বসেন তখনি কান্না থামাতে তাদের হাতে চকলেট ধরিয়ে দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রুমন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল আলম। কর্মসূচি শুরুর আগে এভারগ্রিন কে জি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইমাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সীতাকুন্ড বস্নাড ডোনার্স সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রুমনের সঞ্চালনে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম উপদেষ্টাও সীতাকুন্ড প্রতিনিধি, সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক সবুজ শর্মা শাকিল, প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক শেখ সালাউদ্দিন, স্কুল পরিচালক মো. বখতিয়ার উদ্দিন, বস্নাড ডোনার্স সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল আলম, তুহিন, প্রিন্স, ইসরাত, মিতু ও নাহিদা নাসরিন, জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রুমন বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্যোগ হচ্ছে সীতাকুন্ডে ও সারা বাংলাদেশের যেন কোনো অসহায় রোগী রক্তের অভাবে মারা না যায়। বর্তমানে যুব সমাজ মাদক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেটি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। শিশুর জন্মের সময় রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। তাই আগে থেকেই শিশুদের নাম ও রক্তের গ্রম্নপ জানাটা খুবই জরুরি। রুমন আরো বলেন, আমাদের এখানে কেউ ছাত্র, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ চাকরিজীবী, কেউ বা বেকার; সবাই নিজের সময়, অর্থ ও শ্রম দিয়ে শুধু আত্মতৃপ্তি আর মনবতার জন্য এই কাজগুলো করে থাকি। পাশাপাশি পীড়িত মানুষের সাহায্য, শীতবস্ত্র ও ঈদে এতিম বাচ্চাদের জন্য আমরা সবাই মিলে সাহায্য দিয়ে ও পরিচিত মহলের সাহায্য নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করি। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, মূলত রক্তের প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের সঙ্গে স্বেচ্ছায় রক্তদানকারীদের একটি সরাসরি সেতুবন্ধন করে দেয়াই এর কাজ। রক্তের জরুরি প্রয়োজনে কাউকে যেন দিশেহারা হয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে না হয়, অসহায় গরিব মানুষগুলোকে যেন উচ্চমূল্য দিয়ে রক্ত কিনতে না হয় সেই ব্যবস্থাই করে দেয় আমাদের সংগঠন। তিনি আরো বলেন, আমরা অনেক সময়ই যে গ্রম্নপের রক্ত হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াই, সেই গ্রম্নপের কোনো রক্তদাতা হয়তো আমাদের আশপাশেই থাকে, কিন্তু না জানার অভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি না।