জেনে নিন

মৌখিক সাক্ষ্যের সাক্ষ্যগত মূল্য

প্রকাশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
একটি মামলা আদালতে প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন রকমের প্রমাণ বা সাক্ষ্যের। এই সাক্ষ্যগুলোকে প্রধানত তিনভাগে ভাগ করা হয় : ১. দালীলিক সাক্ষ্য, ২. মৌখিক সাক্ষ্য এবং ৩. পরিস্থিতিগত সাক্ষ্য। এই তিন ধরনের সাক্ষ্যের গুরুত্ব সবসময় একরকম নয়। বিশেষ করে এই তিন ধরনের সাক্ষ্যের মধ্যে মৌখিক সাক্ষ্যকে অকাট্য হিসেবে প্রমাণ করতে হলে আইনের অধীনে বেশ কিছু শতর্ পূরণ করতে হয়। সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারায় মৌখিক সাক্ষ্যের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে যে, আদালতে যে ঘটনার বিচার হচ্ছে, সে সম্পকের্ সাক্ষীকে যেসব বিবৃতি দেয়ার জন্য আদালত অনুমতি দেন বা বিচারের জন্য তার যেসব বিবৃতি আদালতের প্রয়োজন হয়, এসব বিবৃতিকে বলা হয় মৌখিক সাক্ষ্য। সাক্ষ্য আইনের ৫৯ ধারায় বলা হয়েছে যে, দলিলের বিষয়বস্তু ছাড়া সব বিষয়ে মৌখিক সাক্ষ্য দিয়ে মামলা প্রমাণ করা যেতে পারে। একই আইনের ৬০নং ধারায় বলা হয়েছে যে, মৌখিক সাক্ষ্যকে সব ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রত্যক্ষ হতে হবে। অথার্ৎ সেটি যদি এমন বিষয় সম্পকের্ হয়, যা দেখা যেতে পারে; তাহলে যে সাক্ষী বলবে যে, সে তা দেখেছে তা সেই সাক্ষ্যে স্পষ্ট করে বলতে হবে। সেটি যদি এমন বিষয় সম্পকের্ হয় যা শোনা যেতে পারে তবে যে সাক্ষী বলবে যে, সে তা শুনেছে, তাহলে তা সেই সাক্ষ্যে স্পষ্ট করে বলতে হবে। সেটি যদি এমন কোনো বিষয় সম্পকের্ হয়, যা অন্য কোনো ইন্দ্রিয় দ্বারা অন্য কোনোভাবে উপলব্ধি করা যেতে পারে, তবে যে সাক্ষী বলবে যে, সে তা সেই ইন্দ্রিয় দিয়ে বা সেই উপায়ে উপলব্ধি করেছে, তা সেই সাক্ষ্যে স্পষ্ট করে বলতে হবে। সাক্ষ্যে উল্লিখিত বিষয়বস্তু যদি কারও অভিমত অথবা অভিমতের ভিত্তিতে হয়, তবে যে ব্যক্তি সেই ভিত্তিতে সেই অভিমত পোষণ করে, তা সেই সাক্ষ্যে স্পষ্ট করে বলতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞের অভিমত সংবলিত গ্রন্থ যদি সাধারণভাবে বাজারে বিক্রি হয়, সে ক্ষেত্রে সেই অভিমত এবং যে যুক্তির ওপর তা প্রতিষ্ঠিত, সেটির প্রমাণের জন্য সেই গ্রন্থটি উপস্থাপন করা যেতে পারে, যদি সেই গ্রন্থের প্রণেতার মৃত্যু হয়ে থাকে অথবা যদি তার সন্ধান পাওয়া না যায় অথবা যদি তিনি সাক্ষ্য দিতে অসমথর্ হয়ে থাকেন অথবা যদি তাকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত করতে এরকম বিলম্ব ও ব্যয় হয় যা আদালত অযৌক্তিক বলে বিবেচনা করেন। সাইদুল ইসলাম