বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিজ বাড়িতেই সাজা ভোগ করবেন অন্তঃসত্ত্বা নারী

আইন ও বিচার ডেস্ক
  ২৪ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

রাজশাহীতে বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম এক দম্পতিকে কারাগারে না পাঠিয়ে কিছু সামাজিক দায়িত্ব পালনের শর্ত দিয়ে নিজ বাড়িতে প্রবেশনে থেকে সংশোধনের সুযোগ করে দিয়েছেন। একটি মামলার আসামি সায়মা খাতুন নামে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ও তার স্বামী জাকির হোসেনকে ব্যতিক্রমধর্মী সাজা দিয়েছে আদালত।

আসামি উভয়েই দিনমজুর এবং মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। চার বছর আগের একটি ঘটনায় সম্প্রতি এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণাকালে আদালত বলে, আসামিরা দোষী সাব্যস্ত হলেও সায়মা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় মা ও শিশু স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য অনাগত সন্তানের জন্ম পরিকল্পিত ও নিরাপদ হওয়া আবশ্যক। বর্তমানে কারাগারে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ কয়েদির বদ্ধ পরিবেশে বসবাসের কারণে করোনাকালে সেখানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত দুরূহ ব্যাপার। এরূপ প্রেক্ষিতে কারাগারে মা ও অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আসামিদের অপরাধের ধরন, বয়স, অনাগত সন্তান ও মায়ের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ প্রসব ইত্যাদি বিবেচনায় তাদের প্রবেশনের সুযোগ প্রদান করা সমীচীন।

এ সুযোগের বিপরীতে আসামিদের আদালত কর্তৃক আরোপিত শর্ত অবশ্যই মেনে চলতে হবে; না মানলে আসামিকে অবশ্যই ৬ মাসের সাজা ভোগের জন্য জেলে যেতে হবে। আর শর্ত ঠিক মতো পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করবেন প্রবেশন অফিসার।

রাজশাহী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে এমন সাজাপ্রাপ্ত অন্তত ২৬ আসামিকে কারাগারে যেতে হচ্ছে না। ছোটখাটো অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে সংশোধনের মাধ্যমে দ্রম্নত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে 'প্রবেশন' ব্যবস্থার মাধ্যমে বাড়িতে থাকার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিছু শর্তসাপেক্ষে বাড়িতেই তারা সাজা খাটছেন। 'দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০' অনুযায়ী এমন সুবিধা পাচ্ছেন তারা। আইনে প্রবেশন হচ্ছে কোনো আসামির প্রাপ্ত দন্ড বা শাস্তি স্থগিত রেখে তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে বাসায় পারিবারিক পরিবেশে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে