বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
জা র্মা নি

নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার রকমফের

নতুনধারা
  ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

নারী সংহিসতার বিষয়গুলো এখনো জার্মানিতে ট্যাবু বিষয়। ২০১৪ সালের ইইউর করা এক গবেষণায় জানা যায়, ঘরোয়া সহিংসতা বা গৃহ নির্যাতনের ঘটনার প্রতি তিনটির একটি পুলিশকে রিপোর্ট করা হয়ে থাকে। ফ্রাংকফুর্টে আলোচিত একটি ঘটনায় হত্যার দায়ে অপরাধীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে ঠিকই তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ ধরনের অপরাধীরদের দশ বছরের কারাবাসের শাস্তি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

জার্মানিতে প্রতিদিন একজন পুরুষ তার বর্তমান বা সাবেক পার্টনারকে হত্যা করার চেষ্টা করে থাকে। আর এ ধরনের অপরাধীরা প্রতি তিনদিনের একদিন সফল হয়ে থাকে। এ সব অপরাধীদের জন্য যথেষ্ট শাস্তি নেই বলে অভিযোগ দেশের নারী অধিকার সংগঠনের।

হেসে রাজ্যের আইন মন্ত্রণালয়ের ঘরোয়া সহিংসতা বিষয়ক অফিসের প্রধান ইউলিয়া শেফার বলেন, 'পার্টনারকে হত্যা করার ঘটনা কখনো হঠাৎ করে ঘটে না, এগুলোর শুরু সাধারণত ঘরোয়া সহিংসতা, অপমান, লাঞ্ছনা এবং অর্থনৈতিক চাপের কারণে হয়। এর পেছনে থাকে দীর্ঘ ইতিহাস।'

এ সব হত্যার ঘটনাগুলো প্রায়ই পারিবারিক ট্র্যাজেডি, হিংসা বা প্রেমের নাটক অভিহিত করে দেশের গণমাধ্যমকে জানানো হয় বলে অভিযোগ করে জার্মানির নারী অধিকার গোষ্ঠীগুলো। নারী অধিকার সংগঠন টেরে ডেস ফেমেসব এর ভানেসা বেল এ বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, গণমাধ্যমকে সে সব কথা বলার কারণে এ সব খুন সামগ্রিকভাবে সমাজের সমস্যার চেয়ে ব্যক্তিগত বিষয় এবং একক ঘটনা হয়ে ওঠে।

নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা সব সমাজের সব শ্রেণিতেই ঘটে থাকে এবং সর্বত্রই তা প্রতিরোধ করা উচিত বলে মনে করেন ভেনেসা বেল। আইনজীবী জুলিয়া শোফার বলেন, 'ঘরোয়া সহিংসতা ধর্ম, জাতীয়তা বা শিক্ষার প্রশ্ন নয়। অনেকেই গৃহ নির্যাতনের ঘটনাকে পারিবারিক বিষয় বলে দূরে সরে থাকেন। বরং নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে সবাইকেই এগিয়ে আসা উচিত।'

জার্মানির নারী অধিকার সংগঠনগুলো আশা করে যে, আগামীতে নারী সহিংসতার বিষয়ে বিচারক এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ আরও জোরদার করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানসিক এবং আইনি পরামর্শের প্রসার ঘটবে। জার্মানিতে গৃহ নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য যে সব আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে সেগুলোতে প্রতি বছর ১৬ হাজার নারী আশ্রয় নেয়। সেখানে বর্তমানে প্রয়োজন দ্বিগুণ জায়গার।

ইন্টারনেট অবলম্বনে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে