বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
জেনে নিন

কক্সবাজার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের কিছু সফলতার গল্প

জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার বুঝিয়ে সময় নেন অপরপক্ষ থেকে। তারপর আবেদনকারীকে নির্দেশ দেন, অপরপক্ষের বাড়ি গিয়ে তাকে এবং তার মা, ভাইকে বোঝাতে। এডিআরের জন্য অন্য একটি তারিখ নির্দিষ্ট হয়। নির্দেশনা মতে কাজ করে মেলে সুফল। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে এসে, অফিসারের তত্ত্বাবধানে, আপসনামা করে স্ত্রীকে নিজ বাড়ি নিয়ে গেছেন স্বামী। এ পরিবারটি মিলেমিশে থাকুক, এ শুভ কামনা রইল।
আইন ও বিচার ডেস্ক
  ০৫ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

১.

স্থানীয় একটি বেসরকারি এনজিওতে চাকরি করেন আবেদনকারী। কাজ করতে গিয়ে সেক্সুয়াল হেরেসমেন্টের শিকার হন। কর্ম থেকে অব্যাহতি পাওয়ার হুমকিও পান উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে আসেন আপস মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা এবং ন্যায়বিচার প্রাপ্তির জন্য।

আলোচনা হয়। কর্মক্ষেত্রে নারীর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে অঙ্গীকার করেন এনজিও প্রতিনিধিরা। নারী সহকর্মীর প্রতি হেরেসমেন্ট হয়, এমন আচরণ, বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য সব সহকর্মীকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আপসনামা করেন এনজিও পক্ষ। প্রকল্পে সেবার মানসিকতা নেই, এমন লোকজন নিয়োগ দেওয়া থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার করে আপসনামা তৈরি হয়।

আপসে খুশি আবেদনকারী পক্ষগণ। আর কোনো নারী অন্তত এই প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করতে হয়রানির শিকার হবেন না, এই বিষয়টার নিশ্চয়তা পেয়ে আবেদনকারীরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন বলে মনে করেন।

২.

অপরপক্ষ সাগরে মাছ ধরেন। মাছ ধরতে গেলে পরিবারের খবর নেওয়া সম্ভব হয় না। মাঝ দরিয়ায়, বিপদ-আপদ মাথায় নিয়ে মাছ ধরেন। আবেদনকারী এ সময়টাতে কষ্ট করে সংসার টানেন। এ নিয়ে মনোমালিন্য। ছয়মাস আলাদা থাকার পর জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের মধ্যস্থতায় উভয়ের বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। আবেদনকারী সসম্মানে ফিরে যান সংসারে।

সাগর যাদের জীবিকার উৎস, সেই সব শ্রমজীবী মানুষের জন্যও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের দ্বার উন্মুক্ত।

৩.

প্রথমদিন যখন এসেছিলেন অপরপক্ষ, একরাশ অভিমান জমা ছিল মনে। এখানে আবেদনকারী স্বামী ভদ্রলোকটির কড়াকড়ির কারণে অপরপক্ষ যেতে রাজি হন না, বছরে একবার মায়ের বাড়ি যান (তাও অনেক ঝামেলা করে)। এরকম বিবিধ কারণে বিতৃষ্ণায় বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন অপরপক্ষ।

জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার বুঝিয়ে সময় নেন অপরপক্ষ থেকে। তারপর আবেদনকারীকে নির্দেশ দেন, অপরপক্ষের বাড়ি গিয়ে তাকে এবং তার মা, ভাইকে বোঝাতে। এডিআরের জন্য অন্য একটি তারিখ নির্দিষ্ট হয়। নির্দেশনা মতে কাজ করে মেলে সুফল। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে এসে, অফিসারের তত্ত্বাবধানে, আপসনামা করে স্ত্রীকে নিজ বাড়ি নিয়ে গেছেন স্বামী। এ পরিবারটি মিলেমিশে থাকুক, এ শুভ কামনা রইল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে