বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
জে নে নি ন

অদ্ভুত রীতিতে বাঁধা তাদের যৌনজীবন

আইন ও বিচার ডেস্ক
  ১২ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ তাদের ভিন্ন ধরনের কাজ এবং রীতি-নীতির জন্য অন্যদের থেকে আলাদা। যার অনেক কিছুই আমাদের কাছে একেবারেই স্বাভাবিক নয়। আমাদের কাছে যা অস্বাভাবিক সেগুলোই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘটা করে পালন হয়। আমাদের দেশে যৌন ব্যাপারটা একটু রাগঢাক থাকলেও বিশ্বের এমন অনেক দেশ আছে। যেখানে এটি খুবই খোলামেলা ব্যাপার।

নানান দেশে এ ব্যাপার নিয়ে আছে নানান রীতি এবং প্রথা। আফ্রিকার এক দেশ আছে যেখানে কুমারী মেয়েদের কখনো বিয়ে হয় না। বয়ঃসন্ধি শুরু হলেই তাদের থাকতে হয় গ্রামের অন্যান্য পুরুষদের সঙ্গে। তাদের কাছ থেকে শিখতে হয় যৌনজীবনের খুঁটিনাটি। যে মেয়ে যত বেশি পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে পাত্রী হিসেবে তার কদরই সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, মেয়েদের বাবা গিয়ে পিতৃসম পুরুষের কাছে মেয়েকে দিয়ে আসেন।

ট্রোবায়ান্ড দ্বীপপুঞ্জ

পাপুয়া নিউগিনি প্রশান্ত মহাসাগরে সাড়ে চারশ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে আছে ট্রোবায়ান্ড দ্বীপমালা। পাপুয়া নিউগিনির অন্তর্গত এ দ্বীপগুলোতে বাস করে ট্রোবায়ান্ডার নামের এক উপজাতি। কিলিভিলা ভাষায় কথা বলে তারা। ঘন জঙ্গলের মধ্যে থাকে। উর্বর সমতল জমিতে চাষাবাদ করে থাকে। সেই ফসল ট্রোবায়ান্ডাররা বেচে আশপাশের দ্বীপগুলোর মানুষকে। কুলা নামে এক ধরনের ঝিনুকের চকচকে খোলাই এদের কাছে টাকা। এই কুলার বিনিময়েই চলে এদের বাণিজ্য। অত্যন্ত অল্প বয়সে এই উপজাতির ছেলেমেয়েরা প্রবেশ করে যৌনজীবনে। ছেলেরা দশ-বারো বছর এবং মেয়েরা পাঁচ বছর বয়সেই জড়িয়ে পড়ে শারীরিক সম্পর্কে।

বয়স্কদের সামনে দিয়েই বালক-বালিকারা দল বেঁধে জঙ্গলে চলে যায় যৌনমিলন করতে। কেউ বাধা দেয় না তাদের। সবচেয়ে অবাক করা তথ্য, এটুকু বয়সেই তারা তাদের ইচ্ছা মতো যৌনসঙ্গী নির্বাচন ও পরিবর্তন করতে পারে। শুনলে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এ কাজের জন্য তাদের কোনো শাস্তি পেতে হয় না। কারণ ট্রোবায়ান্ডারদের সমাজ যৌনতাকে খাবার খাওয়ার মতোই স্বাভাবিক ও বাধ্যতামূলক বলে মনে করে।

প্রাচীন মিশর

প্রাচীন মিশরের অধিবাসীদের হস্তমৈথুনের প্রতি ভয়ানক আকর্ষণ ছিল। তারা বিশ্বাস করত নীল নদের জোয়ার-ভাটা নির্ভর করে, সৃষ্টির দেবতার বীর্য নির্গমনের ওপর। সেই জন্য দল বেঁধে নীল নদের জলে নেমে হস্তমৈথুন করার প্রথা প্রচলিত ছিল। হাজার হাজার পুরুষ দল বেঁধে, বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, হস্তমৈথুন করতে যেতেন নীল নদের তীরে। নীল নদের জলে বীর্যপাত করার ফলে নাকি নীল নদের জলের ফসল ফলানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি পেত। এছাড়া ফারাওদের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধিকারী দেবতা 'মিনু' এর কৃপা লাভ হতো। মিনু এর বার্ষিক উৎসবের সময় পুরুষরা জনসমক্ষে হস্তমৈথুন করতেন।

ইনিস বিয়েগ

আয়ারল্যান্ডের সমুদ্রে ভাসছে 'ইনিস বিয়েগ' নামে ছোট্ট এক দ্বীপ। ইনিস বিয়েগ শব্দটির অর্থই হলো ছোট্ট দ্বীপ। এ দ্বীপে বাস করেন আইরিশ ভাষায় কথা বলা প্রায় সাড়ে তিনশ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান। কয়েক শতাব্দী ধরেই তারা আয়ারল্যান্ডের মূলস্রোত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন সচেতনভাবে। মূলত চাষাবাদ, পশুপালন ও সমুদ্রে মাছ ধরে জীবন কাটিয়ে দেন তারা।

ইনিস বিয়েগে বসবাসকারী মানুষ সারা পৃথিবীর মধ্যে কঠোরতম রক্ষণশীলতার মধ্যে বাস করেন। যৌনতাকে এখানে কঠোরভাবে দমন করা হয়। কারণ যৌনতাকে 'অশুভ' বলে মনে করা হয়। একমাত্র সন্তান উৎপাদনে প্রয়োজনেই যৌনমিলনে লিপ্ত হন স্বামী-স্ত্রীরা। স্ত্রীর গর্ভে সন্তান এসে গেলে চিরজীবনের জন্য যৌনতাকে বিসর্জন দেন স্বামী-স্ত্রী। ইনিস বিয়েগে হস্তমৈথুন, পায়ুকাম, মুখমৈথুন ও সমকামিতা নিষিদ্ধ। বিয়ের আগের যৌনমিলনের কথা কেউ ভাবতেই পারেন না। এমনকি প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে আদর বা চুম্বন করার কথাও ভাবতে পারেন না। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো বিবাহিত দম্পতিরা যৌনমিলনের সময়ও সম্পূূর্ণ নগ্ন হন না। গাঢ় অন্ধকারে এবং পুরো পোশাক পরে, কেবল যৌনাঙ্গ উন্মুক্ত রেখে যৌনমিলনে লিপ্ত হওয়াটাই ইনিস বিয়েগ দ্বীপের রীতি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে