বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিচারকের অপমান আদালত অবমাননা

শিশির মনির
  ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

'ঊীবপঁঃরাব ধৎস ড়ভ :যব এড়াবৎহসবহঃ রিষষ হড়ঃ নব ধষষড়বিফ :ড় ধঃঃধপশ ধহফ ফবভধপব :যব ঐড়হড়ৎ, উরমহরঃু, গধলবংঃু ধহফ ওহফবঢ়বহফবহপব ড়ভ :যব ঔঁফরপরধষ ঙৎমধহ'-ঈযরবভ ঔঁংঃরপব ঋ.ক.গ.অ গঁহরস.

বাংলাদেশ

১. ৬ ডিসেম্বর ১৯৮৩ তারিখে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার মুন্সেফ-ম্যাজিস্ট্রেট বিচারকার্য পরিচালনা করছিলেন। এমন সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসে তার পাশে বসেন। আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থীদের উপস্থিতিতে মুন্সেফ-ম্যাজিস্ট্রেটকে উদ্দেশ্যে করে তিনি নিম্নোক্ত মন্তব্য করেন-

'ণড়ঁ ংযড়ঁষফ :ধশব ঢ়ৎধপঃরপধষ :ৎধরহরহম ভৎড়স সব ধং :ড় যড়ি পধংবং ধৎব ভরষবফ, যড়ি ফবঢ়ড়ংরঃরড়হং ধৎব :ধশবহ, ঁহফবৎ যিধঃ ংবপঃরড়হং ফবঢ়ড়ংরঃরড়হ ধৎব ৎবপড়ৎফবফ বঃপ.'

২. ২২ ডিসেম্বর ১৯৮৩ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজদারি আদালতের বেঞ্চ অফিসারসহ অন্যদের সংশ্লিষ্ট মুন্সেফ আদালতে কাজ না করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তার ছুটি ও বাৎসরিক অবকাশ সংক্রান্তে প্রশ্ন তোলেন।

৩. ২৬ ডিসেম্বর ১৯৮৩ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুন্সেফ ম্যাজিস্ট্রেটকে নিজ কক্ষে দেখা করতে বলেন। অতঃপর মুন্সেফ ম্যাজিস্ট্রেট তার কক্ষে গেলে মামলার এক পক্ষের উপস্থিতিতে তিনি নির্দেশ দেন, 'ঃড় ফরংঢ়ড়ংব ড়ভ :যব পধংব ধপপড়ৎফরহম :ড় যরং রহংঃৎঁপঃরড়হ ধহফ ধফারপব'

৪. এই ঘটনায় মুন্সেফ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা ও দায়রা জজ, রংপুর বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। অতঃপর ২৪ জানুয়ারি ১৯৮৪ তারিখে জেলা ও দায়রা জজ, রংপুর উক্ত অভিযোগ রেজিট্রার, সুপ্রিম কোর্ট বরাবর প্রেরণ করেন এবং বিষয়টি হাইকোর্ট বেঞ্চ, রংপুর বরাবর উপস্থাপন করার অনুরোধ জানান।

৫. ১৯ মার্চ ১৯৮৪ তারিখে হাইকোর্টের রংপুর বেঞ্চ অভিযোগটি আমলে নেন এবং কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে শাস্তি প্রদান করা হবে না মর্মে রুল জারি করেন

(ঈৎরসরহধষ গরংপবষষধহবড়ঁং ঈধংব ঘড়. ২৪ ড়ভ ১৯৮৪)। এই রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় উক্ত মুন্সেফ-ম্যাজিস্ট্রেটের বদলি সংক্রান্ত দুটি আবেদন আদালতের নজরে আসে। আদালত আবেদন দুটি নিরীক্ষা করে বুঝতে পারেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার আগের আচরণ অব্যাহত রেখেছেন। তখন আদালত আবার রুল জারি করেন, 'যিু যব ংযড়ঁষফ হড়ঃ নব ঢ়ঁহরংযবফ ভড়ৎ ৎবঢ়বধঃরহম :যব ড়ভভবহপব ড়ভ পড়হঃবসঢ়ঃ ড়ভ ঈড়ঁৎঃ(ঈৎরসরহধষ গরংপবষষধহবড়ঁং ঈধংব ঘড়. ৪১ ড়ভ ১৯৮৪)'। এই মামলায় হাইকোর্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিমকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১০০০/-(এক হাজার) টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ দিনের কারাদন্ড দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আপিল দায়ের করেন। ৯ ফেব্রম্নয়ারি ১৯৮৬ তারিখে আপিল বিভাগ শুনানি অন্তে আপিল খারিজ করে দেন এবং দন্ড বহাল রাখেন। [সূত্র : অনফঁষ কধৎরস ঝধৎশবৎ াং :যব ঝঃধঃব ধহফ ধহড়ঃযবৎ, ৩৮ উখজ (অউ) ১৮৮]

ভারত

৬. ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ তারিখে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট রাজ্যের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এন এল প্যাটেলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার দায়ে ডিসট্রিক্ট সুপারিন্টেনডেন্ট অব পুলিশ, পুলিশ ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবলকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেন।

[সূত্র : (উবষযর ঔঁফরপরধষ ঝবৎারপব অংংড়পরধঃরড়হ, ঞরংযধুধৎর ঈড়ঁৎঃ, উবষযর াং ঝঃধঃব ড়ভ এঁলধৎধঃ, (১৯৯১) ৪ ঝঈঈ ৪০৬]

৭. ১২ ডিসেম্বর ২০০৩ তারিখে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট পাটনা রাজ্যের একজন জেলা ও দায়রা জজের অবমাননার দায়ে ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট অব পুলিশ এবং কয়েকজন সাব-ইন্সপেক্টরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।

[সূত্র : অৎঁহ চধংযধিহ াং ঝঃধঃব ড়ভ ইরযধৎ ধহফ ঙঃযবৎং, (২০০৪) ৫ ঝঈঈ ৫৩]

আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে