সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাবার বিপক্ষে মেয়ের জয় আইন ও বিচার ডেস্ক সৌদিতে নারীদের ভ্রমণ, বিয়ে বা অন্যান্য কাজে পিতা, স্বামী বা অন্য কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি লাগে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর সৌদির একটি আদালত একজন নারীর পক্ষে রুল দিয়েছেন। ওই নারী পাসপোটর্ রাখা নিয়ে তার বাবার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এ ঘটনায় পুরুষ অভিভাবকত্ব পদ্ধতি নিয়ে অনলাইন বিতকের্র সৃষ্টি হয়েছে। ২৪ বছর বয়সী ওই নারী পশ্চিম জেদ্দা শহরে থাকেন। তিনি বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য পাসপোটর্ করতে চাইছিলেন। কিন্তু তার বাবা এতে নিষেধ করেন। এতে তিনি অভিভাবকের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়ে আদালতে যান। আদালত তার বাবাকে ওই নারীর পাসপোটর্ করার জন্য আদেশ দেন। স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া ওই নারী ১০ বছর ধরে তার মায়ের সঙ্গে থাকেন। ৬ বছর ধরে তিনি বাবাকে দেখেননি। সৌদি আরব সামাজিক পরিবতের্নর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নারীদের গাড়ি চালানো, খেলা দেখাসহ নানা কাজে যোগ দেয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে সেখানে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ২০৩০ সালের লক্ষ্য হচ্ছে এক-তৃতীয়াংশ নারীকে কমের্ক্ষত্রে যুক্ত করা। দীঘির্দন ধরেই পুরুষ অভিভাবকত্ব পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনার মুখে রয়েছে দেশটি। সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের সদস্য লতিফা আসালান বলেন, ‘নারীদের যদি পুরুষের মতোই নিজেদের পাসপোটর্ করার অধিকার থাকত, তবে আমাদের আদালতের এ বিষয়টির মতো রুল দেয়ার প্রয়োজন হতো না।’ সৌদি আরবের একজন টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, এ পদ্ধতির অসঙ্গতি দেখে আমি বিস্মিত। শেষ পযর্ন্ত ওই পিতাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাসপোটর্ করতে হবে। এত সময় নষ্ট না করে আর ঝামেলা না পাকিয়ে কেন তাদের পাসপোটর্ দেয়া হয় না? যৌন অপরাধীদের জাতীয় ডাটাবেজ আইন ও বিচার ডেস্ক যৌন অপরাধ নিয়ে জাতীয় ডাটাবেজ চালু করল ভারত। নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত যে কোনো যৌন অপরাধ এখন থেকে অনলাইনে নিবন্ধন করা যাবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে যৌন অপরাধের হার সম্পকির্ত তথ্য জানা যাবে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ২০ সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল ডাটাবেজ অব সেক্সুয়াল অফেনডারস (এনডিএসও) চালু করেন। এ ডাটাবেজের মাধ্যমে দেশটির পুলিশ নিয়মিতভাবে এসব বিষয়ে পযের্বক্ষণ করবে। এ ছাড়া তারা এটি নিয়ন্ত্রণও করবে। জাতীয় ডাটাবেজ ছাড়াও আলাদা একটি পোটার্ল চালু করা হয়েছে। যেখানে যে কেউ অনলাইনের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন। বিশেষ করে শিশু পনোর্গ্রাফি, শিশুদের যৌন অপব্যবহার, ধষের্ণর ভিডিও প্রভৃতি ক্ষেত্রে এবং অনলাইনে আপত্তিকর কন্টেন্টের জন্যও অভিযোগ জানানো যাবে। ধষর্ণ, গণধষর্ণ, শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়নসহ ইভ টিজিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিভিন্ন তথ্য এ ডাটাবেজে সংযুক্ত থাকবে। এখন ডাটাবেজটিতে চার লাখের বেশি ঘটনা লিপিবদ্ধ করা রয়েছে। এ ছাড়া ২০০৫ সালের পর থেকে ঘটনাগুলোও লিপিবদ্ধ করতে কাজ করছে পুলিশ। প্রত্যেক ঘটনার ক্ষেত্রেই ডাটাবেজে যৌন অপরাধীর নাম, ঠিকানা, ছবি ও আঙুলের ছাপসহ বিস্তারিত তথ্য থাকবে। বলা হচ্ছে, এরকম ডাটাবেজ তৈরির দিক দিয়ে বিশ্বে ভারত এখন নবম দেশ। অন্য পোটার্লটি নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে সহায়তা করবে। এ পোটাের্ল অভিযোগ জানানো যাবে। তবে অভিযোগকারীর নাম-পরিচয় গোপন থাকবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর কারণে শুধু ভুক্তভোগীরাই উপকৃত হবেন না বরং সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের আরও দায়বদ্ধতা তৈরি হবে। ফেসবুকের বিরুদ্ধে লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ! আইন ও বিচার ডেস্ক জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি এনেছে নিউইয়কির্ভত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘দ্য আমেরিকান সিভিল লিবারটিস ইউনিয়ন (এসিএলইউ)’। ১৮ সেপ্টেম্বর ফেসবুকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনে সংস্থাটি। তারা দ্য ইউএস ইক্যুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি কমিশনের (ইইওসি) কাছে অভিযোগটি দাখিল করেন। অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুকের বিজ্ঞাপন প্রকাশ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লিঙ্গের ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন নিয়োগদাতারা। ওই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভ্যান চালানো, পুলিশের কাজ, বাড়ির ছাদ মেরামতের মতো কাজগুলোকে ‘পুরুষদের কাজ’ বলে ধরা হচ্ছে। সংস্থাটির অভিযোগে ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গরাজ্যের তিনজন নারীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, তারা ফেসবুকে কখনই তথাকথিত ‘পুরুষদের কাজের’ বিজ্ঞাপন দেখেননি। যারা ফেসবুকে চাকরির বিজ্ঞাপন দেন এমন ১০টি প্রতিষ্ঠানের কথা অভিযোগে তুলে ধরা হয়। সাধারণত মেকানিক, ছাদ মেরামত কমীর্, নিরাপত্তা প্রকৌশলীর মতো চাকরির বিজ্ঞাপন দেন তারা। এ সব ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরুষ নাকি নারী, কারা বিজ্ঞাপনটি দেখবেন সেটাও নিধার্রণ করে দেয় এই প্রতিষ্ঠানগুলো।