দেওয়ানি আদালতের আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার বৃদ্ধির গেজেট প্রকাশ

প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
দেওয়ানি মামলা বিচারের ক্ষেত্রে অধস্তন আদালতের বিচারকদের আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার বৃদ্ধিসংক্রান্ত 'দ্য সিভিল কোর্টস (সংশোধন), ২০২১-এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি সংসদে এসংক্রান্ত বিলটি পাস হওয়ার পর সেটি বাস্তবায়নের উদেশ্যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। প্রশাসনিক জটিলতাসহ বিচারপ্রার্থী জনগণের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে এ আইনে সংশোধন আনা হয়েছে। এতে দেওয়ানি আদালতের আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার ক্ষেত্রভেদে বিদ্যমান আইনের ছয় থেকে সাতগুণ বাড়ানো হয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। একজন সহকারী জজ এতদিন দুই লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের (সম্পত্তি বা অর্থে যে অঙ্কের টাকা নিয়ে বিরোধ) মামলা নিষ্পত্তি করতে পারতেন। এখন সেই এখতিয়ার বাড়িয়ে ১৫ লাখ টাকা করার কথা বলা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। একইভাবে জ্যেষ্ঠ সহকারী জজের বিচারিক এখতিয়ার চার লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা এবং আপিল শুনানির ক্ষেত্রে জেলা জজের এখতিয়ার পাঁচ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ কোটি টাকা করা হয়েছে। পাঁচ কোটি টাকার কম মূল্যমানের কোনো মামলায় যুগ্ম-জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল বা কার্যক্রম হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন থাকলে তা জেলা জজ আদালতে স্থানান্তরের বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। আগে পাঁচ কোটি টাকার কোনো আপিল হলে হাইকোর্টে যাওয়া লাগত। আইন সংশোধন হলে জেলা জজ সেই আপিল শুনানি করতে পারবেন বলে বিলে বিধান রাখা হয়েছে। ২০১৬ সালে আইন করে সিভিল কোর্টগুলোর বিচারিক এখতিয়ার বাড়ানো হলেও হাইকোর্ট তা স্থগিত করে দেয়। ফলে নতুন করে আইন সংশোধন করা হচ্ছে। বিলে ২০১৬ সালের ওই সংশোধন রহিত করে একটি ধারা সংযোজন করা হয়েছে। সরকার ২০১৬ সালেও টাকার অঙ্কে বিচারিক এখতিয়ার একই পরিমাণ বাড়িয়ে আইন সংশোধন করেছিল। কিন্তু তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আবেদন হলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সরকারের ওই গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করে দেন।