বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আইনজীবীর বিরুদ্ধে বার কাউন্সিলে অভিযোগ

আইন ও বিচার ডেস্ক
  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

মামলা জিতিয়ে দেওয়ার বদলে জমি দাবি করার অভিযোগ উঠেছে নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা হলেন- সুলতান আলী খন্দকার ও সামছুল আলম। গত ২৮ জানুয়ারি নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তারা।

সুলতান আলী খন্দকার লিখিত বক্তব্যে বলেন, কুড়িগ্রাম মৌজার দাগের পাঁচ একের ৬০ শতক করে তিন শরিকের জমি নিয়ে গণপূর্ত অফিসের ইমারত বিভাগের সঙ্গে মামলায় তাদের আইনজীবী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস। এই মামলাটি চলমান না থাকায় মামলাটি খারিজ হয়।

যেহেতু এই মামলায় আমাদের পূর্ববর্তী শরিকরা সুবাস বোসকে আইনজীবী হিসেবে রেখেছিলেন। সেহেতু পরবর্তীতে আমরাও স্বত্বের মোকদ্দমা করার জন্য ১৯৯৯ সালে অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসকে আইনজীবী হিসেবে থাকার জন্য অনুরোধ করি এবং ফাইলপত্র দিয়ে আসি। তিনি (সুবাস বোস) আমাদের ২-৩ মাস ধরে ঘুরাতে থাকেন এবং শেষ পর্যন্ত আইনজীবী হিসেবে থাকেন নাই। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলামকে আইনজীবী নিয়োগ করে স্বত্বের মোকদ্দমা করি। যার মামলা নং- ৮০/৯৯। এই মামলায় রায় আমাদের পক্ষে আসে অর্থাৎ আমরা ডিগ্রিপ্রাপ্ত হই। তখন অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, 'এই জমির অনেক মূল্য প্রশাসনের নজরে আছে। এভাবে সহজে তোমরা জমি পাবা না। যদি উক্ত জমির এক-তৃতীয়াংশ ছেড়ে দাও তাহলে আমি চেষ্টা করে তোমাদের পক্ষে পাওয়াইয়ে দেবো'। তবে আমরা জমি দিতে রাজি হইনি। এরপর গণপূর্ত অফিসের ইমারত বিভাগ উচ্চ আদালতে (১৪৫/২০০১ নং) আপিল করে। তখন এক-তৃতীয়াংশ জমি না দেওয়ার কারণে অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস উক্ত মামলায় আমাদের পক্ষের আইনজীবী না হয়ে বিপক্ষের আইনজীবী হন। এবং আপিল করায় উক্ত জমির বিষয়ে রিমান্ড হিসেবে নিম্ন কোর্টে (সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট জজকোর্ট, মামলা নং ১৬৫/২০১৬) পুনর্বিবেচনায় যায়। সুবাস বোস আমাদের পক্ষের আইনজীবী থাকাকালে মামলার খুটিনাটি, গোপন তথ্য, জরুরি কাগজ তার কাছে ছিল। বিধায় সকল গোপন ও প্রয়োজনীয় তথ্য তিনি জানেন। তাই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি (অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস) বিবাদী পক্ষ থেকে সরে দাঁড়াননি। যে কারণে ২৮/১১/২০১৯ তারিখে আমি বিষয়টির সমাধানের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আবেদন করি। যার পরিপেক্ষিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সুবাস বাবুকে শোকজ করে। বার কাউন্সিলের নোটিশ পেয়ে তিনি ক্ষিপ্ত হন এবং আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি আমার আত্মীয়-স্বজনকেও নানাবিধ ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস এ বিষয়ে প্রথমে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'আমি কোনো জমি চাইনি। অনেকদিন আগের কথা আমার স্মরণেও নাই'।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে