উত্তর কোরিয়া থেকে ফেরারি নারী ব্রিটেনে ইতিহাস সৃষ্টির পথে

প্রকাশ | ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
তিনি জিততে পারবেন কিনা, ইতিহাস তৈরি হবে কিনা, তা মে মাসে জানা যাবে, তবে তার কাহিনি এতটাই চমকপ্রদ যে শুনলে অবাক হতে হয়। পার্ক প্রথমবার উত্তর কোরিয়া থেকে পালান ১৯৯৮ সালে। তিনি ও তার ভাই চোখের সামনে বাবা ও কাকাকে অনাহারে মারা যেতে দেখেন। তখন উত্তর কোরিয়ায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ চলছিল, যা বাইরের বিশ্বের কাছে গোপন করা হয়েছিল। পার্ক পাচার হয়ে যান একজন চীনা পুরুষের কাছে। ২০১৫ সালে তিনি জানিয়েছিলেন, সেই পুরুষ তাকে প্রায় দাসের মতো করে রেখেছিল। তাদের একটি সন্তান হয়েছিল। কিন্তু চীনে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় পাননি। কারণ, চীনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক খুব ভালো। তাকে গ্রেপ্তার করে আবার উত্তর কোরিয়ায় পাঠানো হয়। ছেলে চীনেই থেকে যায়, পার্ক উত্তর কোরিয়ায় একটি শ্রম শিবিরে ঠাঁই পান। সেখানে তার গ্যাংগ্রিন হয়। তখন তিনি মারা যাবেন ভেবে শিবির থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পার্ক মারা যাননি। তিনি আবার চীনে পালান। ছেলের সঙ্গে মিলিত হন। সেখানে এক দয়ালু ব্যক্তির সাহায্যে মঙ্গোলিয়া আসেন। সেই দয়ালু ব্যক্তি পরে তাকে বিয়ে করেন। বেজিংয়ে এক কোরিয়ার যাজক তাদের সাহায্য করেন এবং জাতিসংঘের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। জাতিসংঘের উদ্যোগে তারা ব্রিটেনে আসেন এবং নতুন করে জীবন শুরু করেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে পার্ক বলেছেন, প্রথম প্রথম তার খুব অসুবিধা হতো। কারণ, তারা ইংরেজি জানতেন না। কিন্তু স্থানীয় মানুষ প্রচুর সাহায্য করেছেন। উপহার দিয়েছেন। এখন বেরি শহরের পুর প্রতিনিধি হয়ে তাদের রিটার্ন গিফট দিতে চান পার্ক।