সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কাপড় ফেলে দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা! আইন ও বিচার ডেস্ক প্রচুর পরিমাণে গ্রিন হাউস গ্যাস উৎপন্ন করার অভিযোগে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির দিকে আঙুল তুলেছে ব্রিটিশ পালাের্মন্টের হাউস অব কমন্স। ব্রিটেনে হাউস অব কমন্সের পরিবেশবিষয়ক একটি কমিটি বলছে প্রতি মৌসুমে না লাগলেও শুধু কেতাদুরস্ত থাকার জন্য নতুন কাপড় কেনা মানেই এক বছর বা মাত্র কয়েক মাসেই প্রচুর কাপড় বাতিল হয়ে যাচ্ছে। বাতিল কাপড় গিয়ে জমছে ময়লার ভাগাড়ে। হাউস অব কমন্সের পরিবেশ কমিটির তথ্যানুযায়ী ব্রিটেনে গত বছর প্রায় ২৫ কোটি জামা-কাপড় ময়লার ভাগাড়ে পাঠানো হয়েছে। এক বছরের মধ্যে সেখানে প্রতি পঁাচটি কাপড়ের তিনটি বাতিল হচ্ছে এবং ল্যান্ডফিল থেকে সেগুলো সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। তাতে খরচ হচ্ছে জ্বালানি। ব্রিটেনে ২০১৫ সালে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির কারণে ১২০ কোটি টন কাবর্ন উৎপন্ন হয়েছে। কাপড় প্রস্তুত করতে বা ধুতে পানি ও বিদ্যুৎ লাগে, জ্বালানি লাগে সেটি বিবেচনা করতে হবে। একটি জিন্সের প্যান্ট যতদিন টেকে ততদিন সেটি পরিষ্কার করতে প্রায় চার হাজার লিটার পানি দরকার হয়। হাউস অব কমন্সের পরিবেশবিষয়ক কমিটি আরও বলছে শুধু একটি পরিবার মেশিনে একবার কাপড় পরিষ্কার করার পর সত্তর হাজার কাপড়ের তন্তু পানির সঙ্গে পরিবেশে মিশে যাচ্ছে। যেসব কাপড় বাতিল হচ্ছে তা একপযাের্য় সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে। সমুদ্রের মাছ কৃত্রিম কাপড় খাচ্ছে। এই কমিটির হিসেবে ২০৫০ সাল নাগাদ ব্রিটেনে জলবায়ু পরিবতের্নর যে প্রভাব পড়বে তার তিন ভাগের এক ভাগেরও বেশি দায় হবে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির। এ কারণে কাপড় ফেলে দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আনার পরামশর্ দিয়েছে ব্রিটেনের পরিবেশবিষয়ক কমিটি। তারা বলছে পরিবেশের ওপর যে প্রভাব পড়ছে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে সরাসরি তার দায়ভার নিতে হবে। দূষণ রোধে তাদের সরাসরি কাজ করতে হবে। স্বামীর ফোন ঘঁাটায় স্ত্রীর জেল! আইন ও বিচার ডেস্ক স্বামীকে না জানিয়ে তার ফোন ঘঁাটায় এক নারীকে তিন মাসের কারাদÐ দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একটি আদালত। ইউএইর রাস আল খাইমাহ অঞ্চলের অধিবাসী এক ব্যক্তি স্ত্রীর বিরুদ্ধে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করলে বিচারকাজ শেষে ২ অক্টোবর দেয়া রায়ে স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। অভিযোগপত্রে স্বামী লিখেছিলেন, তার স্ত্রী অজ্ঞাতসারে তার ফোনে তল্লাশি চালিয়েছেন। এমনকি পরে যেন সব ঘেঁটে দেখতে পারেন, সেজন্য অন্য আরেকটি ডিভাইসে স্বামীর ফোন থেকে সব তথ্য কপি করেও রেখেছিলেন। ওই ব্যক্তি একদিন হঠাৎই টের পান, তিনি ঘুমিয়ে আছেন মনে করে স্ত্রী তার ফোন স্ক্রল করে সেখানে কী কী আছে দেখছেন। এরপর তিনি ফোনে থাকা ছবি আর চ্যাটগুলোও নিজের ফোনে ট্রান্সফার করে নিলেন যেন নিজের ভাইবোনদের দেখাতে পারেন। এটা টের পাওয়ার পরই স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। তবে অভিযুক্ত নারীর দাবি, তার স্বামীই তাকে নিজের পাসওয়াডর্ দিয়ে তার ফোন দেখার অনুমতি দিয়েছিলেন। কেননা এর আগে তিনি অন্য নারীদের সঙ্গে চ্যাট করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। ইউএইতে সাইবার অপরাধবিষয়ক, বিশেষ করে অনলাইনে ব্যক্তির গোপনীয়তা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আইন খুবই কড়া। অনুমতি ছাড়া যে কোনো ব্যক্তির মোবাইল ফোনের তথ্য দেখা ও খেঁাজা দেশটিতে বেআইনি। এমনকি বাবা-মা ও বিবাহিত যুগলের ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য। হাতের লেখা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকের দÐ! আইন ও বিচার ডেস্ক ভারতের উত্তরপ্রদেশের এক আদালত খারাপ হাতের লেখার জন্য চিকিৎসকদের অথর্দÐ দিয়ে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোটের্র একটি লক্ষেèৗ বেঞ্চ ৪ অক্টোবর অপাঠযোগ্য হাতের লেখার দায়ে ৩ জন চিকিৎসককে পৃথকভাবে ৫ হাজার রুপি করে অথর্ জরিমানা করেছে। ওই বেঞ্চে এর আগে তিনটি আলাদা ফৌজদারি মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল। মামলাগুলোতে ভুক্তভোগীদের আঘাতজনিত তথ্যের মেডিকেল রিপোটর্ যথাক্রমে সীতাপুর, উন্নাও এবং গোন্ডা জেলার হাসপাতাল থেকে ইস্যু করে আদালতে জমা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবেদনগুলো কোনোভাবেই পড়া যাচ্ছিল না। কেননা যে চিকিৎসকরা সেগুলো লিখেছিলেন তাদের হাতের লেখা খুবই খারাপ ছিল। ওই বেঞ্চ একে আদালতের কমর্কাÐে বাধা হিসেবে বিবেচনা করে ওই তিন চিকিৎসককে শুনানিতে হাজির হতে সমন জারি করেন। উন্নাওয়ের ডা. টিপি জয়সোয়াল, সীতাপুরের ডা. পিকে গোয়েল এবং গোন্ডার ডা. আশীষ সাক্সেনা আদালতে হাজির হলে বিচারপতি অজয় লাম্বা এবং বিচারপতি সঞ্জয় হারকাউলির বেঞ্চ তাদের খারাপ হাতের লেখার জন্য তিরস্কার করেন এবং প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে ৫ হাজার রুপি করে জরিমানার অথর্ আদালতের গ্রন্থাগারে জমা দিতে নিদের্শ দেন।