জেনে নিন

হাজিরা থেকে অব্যাহতি পান যারা

প্রকাশ | ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
একটি মামলা চালু হওয়ার পর মামলার প্রত্যেকটি শুনানিতে বাদী, বিবাদীকে উপস্থিত থাকতে হয়। বাদী কিংবা বিবাদীর অনুপস্থিত মামলার রায়ে প্রভাব ফেলে এবং সাধারণত অনুপস্থিত পক্ষের বিরুদ্ধেই যায়। সাধারণত দেওয়ানি বা ফৌজদারি যে কোনো মামলায় বিবাদী, প্রতিবাদী বা আসামি ব্যক্তিগতভাবে হাজির হবেন এটাই সাধারণ নিয়ম। তবে এ বিধানের কিছু ব্যতিক্রমও আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আদালত ইচ্ছা করলে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আদালতে হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতি দিতে পারেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে আইনই কিছু কিছু ব্যক্তিকে আদালতে হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছে। সে ক্ষেত্রে আদালত তাদের হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিতে এক প্রকার বাধ্য। যেমন ফৌজদারি কাযির্বধির ২০৫ ধারা অনুসারে, যখন কোনো ম্যাজিস্ট্রেট সমন প্রদান করেন, তখন যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকলে তিনি আসামিকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে রেহাই দিয়ে তাকে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজির হওয়ার অনুমতি দিতে পারেন। অথার্ৎ এ ক্ষেত্রে আসামির পরিবতের্ তার আইনজীবী আদালতে উপস্থিত থাকলেই চলবে। কিন্তু মামলার তদন্তকালে বা মামলা শুনানিকালে ম্যাজিস্ট্রেট তার সুবিবেচনায় মামলার যে কোনো পযাের্য় আসামিকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার নিদের্শ দিতে পারবেন এবং প্রয়োজনবোধে এর আগে বণির্ত পদ্ধতিতে তাকে হাজির হতে বাধ্য করতে পারবেন। ফৌজদারি কাযির্বধির ১১৬নং ধারা অনুসারে, শান্তি রক্ষার জন্য বন্ড সম্পাদনের আদেশ দেয়া হবে না এ মমের্ যাকে কারণ দশাের্না হয়, ম্যাজিস্ট্রেট ইচ্ছা করলে তাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজির হওয়ার অনুমতি দিতে পারবেন। দেওয়ানি কাযির্বধির ১৩২ ধারার সংজ্ঞানুসারে, দেশের প্রচলিত রীতি অনুসারে যেসব নারীকে সবার সামনে উপস্থিত হতে বাধ্য করা উচিত নয, সেসব নারী ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন। দেওয়ানি কাযির্বধির ১৩৩ ধারা অনুসারে, সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি মারফতে সরকার যেসব ব্যক্তিকে আদালতে হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন, তারা ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হওয়া থেকে মুক্ত থাকবেন। বাংলাদেশের সংবিধানে কিছু ব্যক্তিকে আদালতে হাজির হওয়ার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সংবিধানের ৫২ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত ব্যাপারে আদালতে তারা জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। সংকলন: সাইদুল ইসলাম