বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষেপ

নতুনধারা
  ০১ জুন ২০২১, ০০:০০

জামিন-আত্মসমর্পণের মেয়াদ আরও ৪ সপ্তাহ বাড়ল

ম আইন ও বিচার ডেস্ক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে বিভিন্ন মামলায় আসামিদের জামিনের মেয়াদ ও আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের কার্যকারিতা আরও চার সপ্তাহ বাড়িয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নির্দেশক্রমে ৩০ মে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, যে সব মামলায় এরই মধ্যে জামিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে বা উচ্চ আদালত কর্তৃক আসামিকে অধস্তন আদালতে আত্মসমর্পণের মেয়াদ শেষ হয়েছে সে সব ক্ষেত্রে জামিন বা আত্মসমর্পণের আদেশের মেয়াদ আরও চার সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে যে সব অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের মেয়াদ শেষ হয়েছে সে সব ক্ষেত্রেও আদেশের মেয়াদ চার সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এর আগে গত ৪ ও ১৮ এপ্রিল এবং ২ মে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন বা আত্মসমর্পণের আদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।

আইনজীবী হওয়ার পথে আরেক ধাপ এগোলো ৫ হাজার ৩৩৫ জন

ম আইন ও বিচার ডেস্ক

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী তালিকাভুক্তকরণে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৫ হাজার ৩৩৫ জন। ২৯ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফল প্রকাশ করা হয়। ফল প্রকাশ করার বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার ২৫ মে বার কাউন্সিলে অ্যানরোলমেন্ট কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফল ঘোষণা করা হয়।

গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর এবং পরে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রম্নয়ারিতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় ১২ হাজার ৮৭৮ জন অংশ নেন। এর মধ্যে থেকে ৫ হাজার ৩৩৫ জন উত্তীর্ণ হন।

এর আগে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্ন জটিল, এবং করোনার মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ করে অনেক পরীক্ষার্থী বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের এবং অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থীকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

সেদিন পাঁচ কেন্দ্রে হাঙ্গামার পর সেই কেন্দ্রগুলোর পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে কঠোর নিরাপত্তার সঙ্গে পরীক্ষা নেওয়া হয় চলতি বছরের ২৭ ফেব্রম্নয়ারি। বার কাউন্সিলে আইনজীবীদের সনদ পেতে নৈর্ব্যক্তিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আবার ওই তিন ধাপের যে কোনো একটি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা একবার উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী পরীক্ষায় তারা দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো অংশগ্রহণের সুযোগ পান। তবে দ্বিতীয়বারও ফেল করলে তাদের আবার শুরু থেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। সে অনুসারে, ২০১৭ সালের ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া ৩ হাজার ৫৯০ জন শিক্ষার্থী, এবং ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদপ্রত্যাশী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে