সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ছাত্রদের দিয়ে স্কুলবাস চালানোয় চালক গ্রেপ্তার আইন ও বিচার ডেস্ক আমেরিকার ইন্ডিয়ানা প্রদেশে ছাত্রদের স্কুলবাস চালানোর সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগে বাসচালক জোয়ান্দ্রিয়া দেভেনকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। দায়িত্ব অবহেলা ও ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ওই স্কুল বাসচালককে আটক করা হয়। ইন্ডিয়ানা পুলিশ জানায়, জোয়ান্দ্রিয়া দেভেন ১১ বছর, ১৩ বছর ও ১৭ বছরের তিন ছাত্রছাত্রীকে স্কুলবাস চালানো শিখিয়ে দিচ্ছেন। সেই সময় গাড়িতে অন্য ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। গাড়িতে অবস্থান করা এক ছাত্র ঘটনাটি ভিডিও করে। ভিডিওটির ভিত্তিতে ওই চালকের দায়িত্ব অবহেলার দায়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্কুলবাস সাভির্স দেয়া কতৃর্পক্ষ এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমাদের সাবেক স্কুলবাস চালকের এমন কাÐ দেখে বিস্ময়করভাবে অবাক হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার চেয়ে বড় কিছু নেই। চালককে ইতোমধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যেসব কমর্চারী অন্যর জন্য ক্ষতিকর ও ঝুঁকি হবেন তাদের জন্য আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। মালয়েশিয়ায় বাতিল হচ্ছে মৃত্যুদÐ আইন ও বিচার ডেস্ক মানবাধিকার কমীের্দর দীঘির্দনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ-পূবর্ এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ায় বাতিল হচ্ছে মৃত্যুদÐ। দেশটির মন্ত্রিসভা এ সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১১ অক্টোবর দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। হত্যা, অপহরণ, মাদকদ্রব্য পাচার, অস্ত্র দখলের কারণে মালয়েশিয়ায় সবোর্চ্চ সাজা দেয়া হয়। ব্রিটিশ উপনিবেশিক আইন অনুযায়ী দেশটিতে সবোর্চ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদÐকে গণ্য করা হয়। দেশটির কমিউনিকেশন ও মাল্টিমিডিয়া মন্ত্রী গোবিন্দ সিং দিও আন্তজাির্তক সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, মৃত্যুদÐ বন্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। আশা করছি খুব দ্রæত সংশোধিত আইনটি পাস হবে। দীঘির্দন ধরে মৃত্যুদÐের বিরুদ্ধে দাবি জানিয়ে আসছে দেশটির মানবাধিকার কমীর্রা। এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানিয়েছেন তারা। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে এমন আইনজীবীদের সংগঠনের উপদেষ্টা এন সুরেন্দ্রান এমন সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, মত্যুদÐ রায় হলো ববর্র, ভয়াবহ নিষ্ঠুর। কারাগারের চাবি বন্দিদের হাতে! আইন ও বিচার ডেস্ক ব্রাজিলের একটি জেলখানায় আসামিদের হাতেই থাকে নিজেদের সেলের চাবি। বিশ্বে চতুথর্ স্থানে রয়েছে ব্রাজিলের জেলের বন্দি সংখ্যা। এসব জেলকে কুখ্যাত বললেও কম বলা হবে। কারণ এখানে প্রায় বন্দিদের সংঘষর্ লেগে থাকে। ২০১৭ সালে ব্রাজিলের জেলে দুটি প্রতিদ্ব›দ্বী গ্রæপের সংঘষের্ ৫৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। কিন্তু এখানকার একটি জেল একেবারই অন্যরকম। এই জেলের বন্দিদের কাছেই থাকে তাদের সেলের চাবি। এ ছাড়া রয়েছে মৌলিক শিক্ষারব্যবস্থা। দেয়া হচ্ছে বেশ কিছু প্রশিক্ষণ, যাতে মুক্তি পেলেই কাজ পেতে পারেন বন্দিরা। ব্রাজিলের সংশোধনাগারের সঙ্গে যুক্ত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কমর্কতার্ ভালদেসি ফেরেইরা। ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রোটেকশন অব অ্যাসিস্টান্স টু দ্য কনভিকটেড’ (এপিএসি) বেসরকারি সংস্থা যে জেলটি চালায় তারা অন্যরকম ভাবতে শুরু করে। ১৯৮০ সালে ব্রাজিলের একটি সংশোধনাগারে গিয়েই ভাবনাটি মাথায় এসেছিল ফেরেইরার। পরবতীের্ত তা বাস্তবায়িত করলেন তিনি। ফেরেইরা বলেন, ‘চাবি আসলে বিশ্বাসের প্রতীক। তাই চাবি তুলে দেয়া হয়েছে বন্দিদের হাতে।’ আপেকের পরিচালিত এই জেলে সংখ্যা নয়, নামে ডাকা হয় বন্দিদের। তাদের ডাকা হয় ‘রিকভারিং পাসর্ন’ হিসেবে। সেখানে নেই কোনো দ্বাররক্ষী কিংবা বন্দুক। শুধু ঘুমানোর সময় জেলের ঘরে ফেরেন তারা। বাকি সময় কাজ, পড়াশোনা বা নিজেদের শখ নিয়েই থাকেন বন্দিরা। এই জেলের খরচ অন্য জেলের তুলনায় প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কম। এমনকি ইচ্ছামতো খেলাধুলা বা ধমার্চরণের অধিকারও রয়েছে এখানকার বন্দিদের। ব্রাজিলে এ রকম আরও ৫০টি জেল এভাবে চলা শুরু করেছে। আরও ১০০টি জেলকে এভাবে চালানোর প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।