শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশদ্রোহ আইন নিয়ে প্রশ্ন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের

আইন ও বিচার ডেস্ক
  ২০ জুলাই ২০২১, ০০:০০

ভারতে যে দেশদ্রোহ আইন রয়েছে, তা একসময় দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতো। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও সেই আইনের প্রয়োজনীয়তা কতটা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। একাধিক আবেদনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে, 'যে আইন একসময়ে মহাত্মা গান্ধী, বালগঙ্গাধর তিলকের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করত ব্রিটিশরা, সেই আইনের এখনো, অর্থাৎ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও কেন প্রয়োজন?'

দেশদ্রোহ আইনের অপপ্রয়োগ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। প্রশ্ন করে, 'কেন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও এই আইন দেশে প্রয়োজন হবে?'

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা ও বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায় দেশদ্রোহ আইনের একাধিক আবেদনের শুনানি একই সঙ্গে করছিলেন। তারা প্রশ্ন তোলেন, 'আমরা জানি না সরকার কেন এখনো এই আইন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। প্রাচীন আইন নিয়ে সরকারের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।'

আইন প্রয়োগের বিষয়ে কাঠের মিস্ত্রি বা ছুতোর মিস্ত্রির প্রসঙ্গও তোলেন বিচারপতিরা। তারা বলেন, 'একজন ছুতোর মিস্ত্রিকে করাত দিয়ে কাঠের টুকরো কাটতে বলায় তিনি গোটা জঙ্গল সাফ করে ফেলেছিলেন। এই ঘটনা অনেকটা তেমনই। আইনের যথেচ্ছ প্রয়োগ করা হচ্ছে। অপব্যবহার করা হচ্ছে।'

রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট তার স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ জানিয়ে দেওয়ার পরই যেন নির্ভয়ে এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছে গোটা ভারত। কেন্দ্রের শাসক শিবির বাদে দল-মত-পেশা নির্বিশেষে সব স্তরের মানুষ শীর্ষ আদালতের সঙ্গে এক সুরে ও একযোগে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে মোদি সরকারের উদ্দেশে। তা হলো, ঔপনিবেশিক ব্রিটিশরা যে আইনে মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধী বা গোখলেদের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জেলে পুরত, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও কেন সেই আইন রেখে দেওয়া হয়েছে?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে