শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষেপ

নতুনধারা
  ১৯ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

টেক্সাসে আদালতের রায়ে আবার চালু গর্ভপাত

আইন ও বিচার ডেস্ক

টেক্সাসের সিনেট আইন করে গর্ভপাত বন্ধ করে দিয়েছিল। আদালত সেই আইনের ওপর স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছে। গত সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত গর্ভপাত বিরোধী আইন চালু হয়েছিল টেক্সাসে। যা নিয়ে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন আন্দোলনে নেমেছিল। বৃহস্পতিবার টেক্সাসের ডিস্ট্রিক্ট আদালত জানিয়ে দিল, আপাতত ওই আইনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে। ফলে ফের গর্ভপাত করাতে পারবেন নারীরা।

সেপ্টেম্বরে টেক্সাসের সেনেট যে আইন তৈরি করেছিল, তাতে বলা হয়, ছয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে নারীরা আর গর্ভপাত করাতে পারবেন না। কারণ, ছয় সপ্তাহ পরে ভ্রূণের হৃৎস্পন্দন শোনা যায়। কিন্তু সমস্যা হলো, অধিকাংশ নারীই ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রেগনেন্সি বুঝতে পারেন না। ফলে গর্ভপাত করতে চাওয়া নারীদের মাথায় হাত পড়ে যায়। অনেকে অন্য রাজ্যে গিয়ে গর্ভপাত করাচ্ছিলেন। কেউ পার্শ্ববর্তী মেক্সিকোয় চলে যাচ্ছিলেন। ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক বলেন, দেশের সংবিধানকে অমান্য করা হয়েছে টেক্সাসের ওই আইনে। শুধু তা-ই নয়, এর আগে সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে যে রায় দিয়েছে, টেক্সাসের আইন তারও বিরোধী। সে কারণেই আপাতত আইনটির ওপর স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছেন তিনি।

স্থগিতাদেশ ঘোষণা হতেই বিভিন্ন গর্ভপাত কেন্দ্রগুলো খুলে গেছে। নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে, আদালতের রায় মেনে সেন্টারগুলো খোলা হয়েছে। তেমনই এক সেন্টারের কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফের কবে আইন কার্যকরী হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। ফলে আদালতের রায় আসার সঙ্গে সঙ্গে সেন্টারগুলোতে ভিড় উপচে পড়েছে।

তামিলনাড়ুর দোকান কর্মীরা বসার অধিকার পেয়েছেন

\হআইন ও বিচার ডেস্ক

২০১৮ সালে কেরালা রাজ্যে প্রথম এমন আইন করা হয়। সেই সময় কাপড়ের দোকানে কাজ করা বিক্রয় কর্মীরা 'বসার অধিকারের' জন্য বিক্ষোভ করেছিলেন।

এবার ভারতের দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে তামিলনাড়ুতে এমন আইন পাস হলো। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে গত মাসে দোকান কর্মীদের জন্য চেয়ার রাখার আইন পাস হয়েছে। যখন ইচ্ছে কর্মীরা যেন বসতে পারেন সেজন্য এই আইন করা হয়েছে।

তামিলনাড়ুর এক কাপড়ের দোকানে প্রায় এক দশক ধরে কাজ করছেন ৪০ বছর বয়সি লক্ষ্ণী। তিনি জানান, 'এখন পর্যন্ত আমরা দুপুরের খাবারের জন্য যে ২০ মিনিটের বিরতি শুধু সেই সময়টা বসতে পারতাম। আর বাকি সময় কষ্ট কমাতে মাঝেমধ্যে কিছুক্ষণের জন্য কাপড় রাখা তাকের সঙ্গে হেলান দিতাম। কোনো ক্রেতা না থাকলেও মেঝেতে বসার অনুমতি ছিল না।'

তামিলনাড়ুর মতো দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে অলংকার, শাড়ি ও জামাকাপড়ের চেন মার্কেট রয়েছে। নারী ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এসব দোকানে মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের নিয়োগ দেয়া হয়।

তামিলনাড়ু রাজ্যে বিল পাস হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কেরালা রাজ্যের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়া পি. ভিজি। তবে তিনি বলেন, আইন পাসের চেয়ে বাস্তবায়ন কঠিন। দোকানে চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে কিনা তা নিয়মিত নজরদারির মধ্যে রাখেন ভিজির সংগঠনের কর্মীরা। তামিলনাড়ুর সরকারি কর্মকর্তা কিরলোশ কুমার থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে জানিয়েছেন, ওই রাজ্যে আইন মানা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে মাঝেমধ্যে পরিদর্শকরা দোকান পরিদর্শন করবেন।

তামিলনাড়ুর নারী শ্রমিক সংগঠনের নেতা এম ধনলক্ষ্ণী বলেন, ১২ কিংবা ১৪ ঘণ্টার শিফটে প্রায় সবসময় দাঁড়িয়ে থাকতে হলে পায়ের শিরা ফুলে যাওয়ার মতো স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। তাই অনেক আগেই এমন আইন থাকা প্রয়োজন ছিল।

এদিকে, বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মীরা বলছেন, বসার অধিকার পূরণ হলেও আরও কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। যেমন সর্বনিম্ন বেতনের চেয়ে কম টাকা দেয়া, সপ্তাহের প্রতিদিন কাজ করতে বাধ্য করা, টয়লেট ব্যবহারে নজরদারি এবং দোকানের ম্যানেজার কর্তৃক সবসময় নজরদারি করার মতো বিষয়গুলো এখনও রয়ে গেছে।

ভাড়াটে খুনি দিয়ে নিজেকে গুলি করিয়ে ফেঁসে গেলেন মার্কিন আইনজীবী

ম আইন ও বিচার ডেস্ক

নাম তার অ্যালেক্স মারডাগ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রখ্যাত আইনজীবী। গত ৪ সেপ্টেম্বর আমেরিকার দক্ষিণ ক্যারোলিনায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। অ্যালেক্স মারডাগের সঙ্গী তথা আইনজীবী জিম গ্রিফিন জানিয়েছেন, ৫৩ বছর বয়সি মারডাগ রাস্তার ধারে তার গাড়ির টায়ার পরিবর্তন করছিলেন। এ সময় একটি ট্রাক থেকে তাকে গুলি করা হয়।

এ ঘটনার তিন মাস আগে (জুনের ৭ তারিখে) মারডাগের স্ত্রী এবং এক ছোট ছেলের নিজেদের বাড়িতেই রহস্যজনক মৃতু্য ঘটে। এখনো পর্যন্ত সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তির তালিকা তৈরি করা হয়নি। তবে ভিন্ন দিকে মোড় নিল সেই ঘটনা। নিজেই ফেঁসে গেলেন আইনজীবী মারডাগ। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, নিজেই অ্যাডওয়ার্ড স্মিথ নামে এক ভাড়াটে খুনির মাধ্যমে নিজেকে গুলি করিয়েছিলেন মারডাগ। বেঁচে থাকা তার একমাত্র ছেলেকে বিশাল অংকের ইন্সু্যরেন্সের টাকা পাইয়ে দিতেই তিনি এভাবে নিজেকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।

কেননা, মারডাগ জানতেন তিনি আত্মহত্যা করলে তার ছেলে কিছুই পাবে না। আর এভাবে মৃতু্য হলে তার বেঁচে থাকা একমাত্র ছেলে ইন্সু্যরেন্স হিসেবে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা পাবে। কিন্তু তার সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায় গুলির পরও সেদিন তিনি বেঁচে যাওয়ায়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি তদন্তে উঠে এসেছে এবং তার বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত চার্জশিট দাখিল করেছে মার্কিন পুলিশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে