সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে বৈদ্যুতিক চেয়ারে মৃত্যুদÐ কাযর্কর আইন ও বিচার ডেস্ক যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে জোড়া খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুদÐ বৈদ্যুতিক চেয়ারে বসিয়ে গত ১ নভেম্বর কাযর্কর করা হয়েছে। মৃত্যুদÐ কাযর্করে খুব কম ক্ষেত্রেই এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দেশটিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগ করে মৃত্যুদÐ কাযর্কর করা হয়। ৬৩ বছর বয়সী ইডমুন্ড জাগোস্কির্ হচ্ছে বিগত পঁাচ বছরের মধ্যে প্রথম মাকির্ন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যার মৃত্যুদÐ বৈদুুতিক শক দিয়ে কাযর্কর করা হলো। মাদক বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে ১৯৮৩ সালে দুই ব্যক্তিকে বনের মধ্যে ডেকে নিয়ে হত্যা করার দায়ে জাগোস্কিের্ক মৃত্যুদÐ দেয়া হয়। ওই হত্যাকাÐের দুই সপ্তাহ পর তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। সেখানে তাদের দুজনকে গুলি করার পর গলা কেটে হত্যা করা হয়। মাকির্ন সুপ্রিম কোটের্ চ‚ড়ান্ত আপিল আবেদন প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর তার এ মৃত্যুদÐ কাযর্কর করা হলো। মৃত্যুদÐ কাযর্করের একটি পদ্ধতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এখন কেবলমাত্র নয়টি রাজ্যে বৈদ্যুতিক চেয়ার ব্যবহারের রীতি চালু রয়েছে। এ নয়টি রাজ্যের একটি হচ্ছে টেনেসি। বাধ্যতামূলক সালিশ বাতিল চায় নারী গুগলকমীর্রা আইন ও বিচার ডেস্ক বিশ্বজুড়ে গুগলের অফিসগুলোয় শত শত কমীর্ ১ নভেম্বর এক অভ‚তপূবর্ কমির্বরতিতে যোগ দেন। তারা গুগলে নারীকমীের্দর যৌন হয়রানির অভিযোগ এখন যে পদ্ধতিতে মিটমাট করা হয়, তার প্রতিবাদ জানান। এই প্রতিবাদে অংশ নেয়া কমীর্রা চান যৌন অসদাচরণের অভিযোগ যেন তারা চাইলে আদালতেও নিয়ে যেতে পারেন। বতর্মান ব্যবস্থায় এরকম অভিযোগ বাধ্যতামূলকভাবে সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। গুগলে এই ব্যাপক ক্ষোভ-প্রতিবাদের সূচনা হয়েছে এক উচ্চপদের নিবার্হী কমর্কতার্ অ্যান্ডি রুবিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগকে ঘিরে। অ্যান্ডি রুবিন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেছেন। তিনি সম্প্রতি গুগলের চাকরি ছেড়ে দেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ থাকার পরও তাকে চাকরি ছাড়ার সময় মোট নয় কোটি ডলার দেয়া হয়েছিল। গত সপ্তাহে এই পুরো বিষয়টি ফঁাস হওয়ার পর কোম্পানির কমীের্দর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গুগলকমীর্রা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কতৃর্পক্ষের কাছে যেসব দাবি জানাচ্ছেন তার মধ্যে আছে : ১. গুগলের বতর্মান বা ভবিষ্যৎ কমীের্দর বেলায় হয়রানি বা বৈষম্যের অভিযোগ উঠলে তা সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়া; ২. বেতন এবং সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে বৈষম্য বিলোপের অঙ্গীকার; ৩. যৌন হয়রানির বিষয়ে রিপোটর্ জনসমক্ষে প্রকাশ; ৪. যৌন অসদাচরণের অভিযোগ যেন নিরাপদে এবং অজ্ঞাতনামা হিসেবে দায়ের করা যায়, তার ব্যবস্থা করা। সিলিকন ভ্যালির কোম্পানিগুলোতে সাধারণত কোনো বিরোধ বা অভিযোগ ‘বাধ্যতামূলক সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। সালিশ পছন্দ না হলে অভিযোগকারীরা এর বিরুদ্ধে আর কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে না। শুনানি শুরু হচ্ছে জামাির্নর ‘সিরিয়াল কিলার’ নাসের্র আইন ও বিচার ডেস্ক জামাির্নর ‘সিরিয়াল কিলার’ নাসর্ নিয়েলস হোগেল শতাধিক রোগী হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। বিশ্বযুদ্ধোত্তর জামাির্নর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ হত্যাকাÐে দায়ের করা মামলার শুনানি শুরু হচ্ছে। ৩০ অক্টোবর থেকে নিয়েলস হোগেলের সিরিয়াল কিলিংয়ের শুনানি শুরু হচ্ছে। ৪১ বছর বয়সী হোগেল রোগী হত্যার দায়ে প্রায় এক দশকের কাছাকাছি সময় জেলে কাটিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, সিরিয়াল কিলার এ নাসর্ রোগীদের ইচ্ছাকৃতভাবেই অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ দিতেন। তিনি শেষ মুহূতের্ রোগীদের পুনরুজ্জীবিত করতে চাইতেন। ইতোমধ্যেই যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন হোগেল। তিনি হত্যার দায়ও স্বীকার করেছেন। এমনকি যাবজ্জীবন সাজার মধ্যে এক দশকের মতো কারাভোগও করেছেন তিনি। তদন্তকারীরা বলছেন, ২০০০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ওলডেনবাগর্ হাসপাতালে অন্তত ৩৬ জন রোগীকে হত্যা করেন এ নাসর্। এ ছাড়া ডেলমেনহসের্ট ক্লিনিকে আরও ৬৪ জনকে হত্যা করেন তিনি।