সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
৫৪ শতাংশ ভিকটিম পুলিশের ভ‚মিকায় অসন্তুষ্ট আইন ও বিচার ডেস্ক সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়াদের ৫৪ শতাংশই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভ‚মিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ৫ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘অনলাইনে শিশু যৌন হয়রানি প্রতিরোধ : আইনি পযাের্লাচনা’ শীষর্ক এক আলোচনা সভায় এ গবেষণার তথ্য জানানো হয়। ১৩৩ জন নারী ও পুরুষের ওপর এ গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। আলোচনা সভায় আসকের শিশু অধিকার ইউনিটের সমন্বয়কারী অম্বিকা রায় বলেন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট পযর্ন্ত ৬৮ জন শিশু অনলাইনে নিযার্তনের শিকার হয়েছে। অভিযোগ দায়ের করা ৭ শতাংশ ভিকটিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভ‚মিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ৪৪ শতাংশ ভিকটিম মনে করেন, দোষীদের বিচারের আওতায় আনা গেলে অনলাইনে যৌন হয়রানির সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে। হয়রানির ভয়ে যৌন হয়রানির পরও অনেকে বিষয়টি প্রকাশ করেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনলাইনে যৌন হয়রানির শিকার ২৩ শতাংশ ভিকটিম আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পরও ব্যাপারটা প্রকাশ করেন না হয়রানির ভয়ে। ১৭ শতাংশ ভিকটিম লোকলজ্জার ভয়ে পুরো ব্যাপারটিই প্রকাশ করা কিংবা অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকেন। আর স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভয়ে ৫ শতাংশ ভিকটিম নীরব থাকেন। এ ছাড়া ৩০ শতাংশই জানেন না অনলাইনে যৌন হয়রানির শিকার হলে কোথায় এবং কীভাবে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নিবার্হী পরিচালক শীপা হাফিজের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম, ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সাইবার সিকউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম) মিশুক চাকমা, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক সাইমুম রেজা পিয়াস, টিডিএইচ নেদারল্যান্ড বাংলাদেশ অফিসের রিসাচর্ অ্যান্ড নলেজ মেনেজমেন্ট প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট কাতির্ক চন্দ্র মÐল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ধমর্ বিষয়ে বাকস্বাধীনতার গÐি দিল ইসিএইচআর আইন ও বিচার ডেস্ক মহানবি হযরত মোহাম্মদকে (সা.) শিশু যৌন নিপীড়নকারী আখ্যায়িত করা বাকস্বাধীনতার মধ্যে পড়ে না বলে অভিমত দিয়েছে ইউরোপিয়ান কোটর্ ফর হিউম্যান রাইটস (ইসিএইচআর)। ইসলামের নবী হযরত মোহাম্মদকে (সা.) শিশু নিপীড়নকারী বলায় এক অস্ট্রিয়ান নারীকে সে দেশের আদালতের সাজা প্রদানে তার বাকস্বাধীনতার লঙ্ঘন হয়নি বলে ২৫ অক্টোবর আদেশে বলেছে এই আদালত। স্ট্রাসবুগির্ভত্তিক ইসিএইচআর বলেছে, ওই নারীকে দÐ প্রদানকারী অস্ট্রিয়ার আদালত খুব সাবধানতার সঙ্গে তার ‘বাকস্বাধীনতার অধিকারের সঙ্গে অন্যদের ধমীর্য় অনুভ‚তির সুরক্ষার অধিকারের সমন্বয় করেছে এবং অস্ট্রিয়ায় ধমীর্য় শান্তি বজায় রাখার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যের জন্য কাজ করেছে।’ ওই নারী ২০০৯ সালে ‘ইসলামের মৌলিক তথ্য’ শিরোনামে দুটি সেমিনারের আয়োজন করেন, সেখানে মোহাম্মদের ছয় বছরের শিশু আয়েশাকে বিয়ে করার বিষয়টি শিশু যৌন নিপীড়নের মধ্যে পড়ে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। নিউইয়কের্ বাংলাদেশিদের বন্ধু আইনজীবী ব্রæস ফিশার আইন ও বিচার ডেস্ক নিউইয়কের্ প্রবাসী বাংলাদেশিদের বন্ধু হয়ে উঠেছেন আইনজীবী ব্রæস ফিশার। স্বনামধন্য এ আইনজীবী এরই মধ্যে লাখ লাখ ডলারের ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিয়েছেন বাংলাদেশিদের। বিপদে-আপদে বাংলাদেশিদের পাশে দঁাড়াতে পেরে তৃপ্তিও বোধ করেন ফিশার। সম্প্রতি বাংলাদেশি এক গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে ব্রæস ফিশার বলেন, ‘বাংলাদেশিদের সেবা দিতে পেরে আমি আনন্দিত। নিজেকে শুধু একজন পেশাজীবীই মনে করি না আমি। পেশাগত দায়িত্বের বাইরে বাংলাদেশিদের আমি বন্ধু বলেই মনে করি। চলতি বছরেই বাংলাদেশিদের দুই মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিয়েছি।’ তার জ্যাকসন হাইটসের কাযার্লয়ে দীঘির্দন থেকেই ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কমিউনিটির পরিচিত মুখ বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ব্রæস ফিশার বাংলাদেশিদের যতেœর সঙ্গে সেবা দিয়ে থাকেন। প্রবাসীদের বড় বড় যে কোনো অনুষ্ঠান ও উৎসবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।’ অন্য আইনজীবীদের থেকে ফিশার আরেকটি দিক থেকে ব্যতিক্রম। দুঘর্টনা বা ক্ষতিপূরণ মামলার জন্য আগে থেকে কোনো ফি গ্রহণ করেন না তিনি। মামলা নিষ্পত্তির পর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী পাওনা আদায় করেন।