সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
গান শুনে বিয়ের আসরেই স্ত্রীকে তালাক দিলেন বর ম আইন ও বিচার ডেস্ক তুচ্ছ কারণ নিয়ে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনা বিরল নয়। তবে তুচ্ছ কারণে বিয়ের আসরেই স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ঘটনা বেশি নেই। এই তরুণ বিয়ের আসরে 'বিশেষ' একটি গানের জন্য স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকের বাগদাদে এই ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিয়ের আসরে একটি সিরিয়ার 'উসকানিমূলক' গানের কারণেই স্ত্রীকে তালাক দেন ওই যুবক। সিরিয়ার গায়ক লামিস কানের গাওয়া 'মেসায়তারা' শিরোনামের গানটিই বিয়ের আসরে ওই দম্পতির বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সিরিয়ান ওই গানটির বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় 'আমি তোমাকে নিয়ন্ত্রণ করব'। তবে কনে কিন্তু মোটেও ওই গানটি গাচ্ছিলেন না। তার অপরাধ ছিল ওই গানের তালে তালে নাচা। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিয়ের আসরে মেসায়তারা গানের তালে তালে নাচচ্ছিলেন ওই কনে। বর আর তার পরিবার বিশেষ ওই গানের সঙ্গে নাচকে উসকানি হিসেবেই দেখছিলেন। তাই বর প্রথমে এ নিয়ে কনের সঙ্গে বাকবিতন্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে বিয়ের আসরেই কনেকে তালাক দেন। মধ্যপ্রাচ্যে অবশ্য এই বিশেষ গানটির কারণে নববিবাহিতদের বিচ্ছেদের ঘটনা বিরল নয়। গত বছর জর্ডানের এক যুবক বিয়ের আসরে এই গান বাজানোর জন্য নববধূকে তালাক দিয়েছিলেন। নিশ্চয়ই জানতে কী আছে বিশেষ এই গানে যার জন্য বিয়ের আসরেই বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটল। সিরিয়ান গানটির বাংলা করলে অনেকটা এ রকম অর্থ হয় : 'আমি তোমাকে নিয়ন্ত্রণ করব; আমার কঠোর নির্দেশে তোমাকে শাসন করা হবে; যদি তুমি রাস্তায় অন্য মেয়েদের দিকে তাকাও আমি তোমাকে পাগল করে দেব; হঁ্যা, আমি তোমাকে নিয়ন্ত্রণ করব; তুমি আমার সোনা; যতদিন তুমি আমার সঙ্গে থাকবে, ততক্ষণ তুমি আমার নির্দেশে চলবে; আমি অহংকারী, আমি অহংকারী।' জার্মানিতে ডার্কনেটের সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে কারাদন্ড ম আইন ও বিচার ডেস্ক জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের একটি আদালত ট্রাবেন ট্রাবাখ গ্রামে তথাকথিত সাইবার-বাংকারের অপারেটরদের কারাদন্ড দিয়েছে। তারা ন্যাটোর সাবেক এক বাংকার থেকে অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ডার্কনেট পস্ন্যাটফর্ম পরিচালনা করেছিলেন। কেন্দ্রটির সার্ভারগুলো ব্যবহার করে অনলাইনে মাদক বিক্রি, অর্থের বিনিময়ে হত্যা, অর্থপাচার এবং শিশু নিগ্রহের ছবি আদানপ্রদান করা হয়েছে। জার্মানির রাইনল্যান্ড-পালাটিনাটে রাজ্যে অবস্থিত ন্যাটোর এক সাবেক বাংকারে সার্ভার বসিয়ে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন দন্ডপ্রাপ্তরা। তাদের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই লাখের মতো অপরাধমূলক লেনদেনে সহায়তা করা ও উৎসাহিত করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। অভিযুক্ত সাত পুরুষ এবং এক নারীর বিচারকার্য সম্পন্ন হতে এক বছরের মতো সময় লেগেছে। আদালত কী রায় দিয়েছে? আদালত মূল অপরাধী হিসেবে ৬২ বছর বয়সি এক ডাচম্যানকে চিহ্নিত করেছে। তাকে সাড়ে পাঁচ বছর কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ছয়জনকে দুই বছর চারমাস থেকে চার বছর তিনমাস অবধি নানা মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আর অষ্টম ব্যক্তিকে এক বছরের স্থগিত কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি প্রিসাইডিং জাজ গু্যন্টার ক্যোহলার জানান, প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চক্রটি একটি 'বুলেটপ্রম্নফ হোস্টার' পরিচালনা করছিল যেটি এমন এক ডাটা সেন্টার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল- যা তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই রায় গুরুত্বপূর্ণ কেন? সাইবার অপরাধ নিয়ে জার্মানিতে পরিচালিত বড় মামলাগুলোর একটি ছিল এটি। এক্ষেত্রে কারা ডার্কনেট ব্যবহার করে অবৈধ পণ্য এবং সেবা নিচ্ছে সেদিকে গুরুত্ব না দিয়ে কারা এমন নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে সেদিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। পাঁচ বছর তদন্তের পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গ্রামটিতে অভিযান চালিয়ে মাটির নিচে বাংকারে থাকা শক্তিশালী সার্ভারগুলো উদ্ধার করা হয়। যন্ত্রপাতিগুলো ব্যবহার করে 'ওয়াল স্ট্রিট মার্কেট' ও 'ফ্রডস্ট্যারস' এর মতো ডার্কনেট নেটওয়ার্ক পরিচালনা করা হয়েছিল। সার্ভার সেন্টারটিতে হোস্ট করা অবৈধ ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করে তথ্য চুরি এবং ভুয়া নথি তৈরি করা হতো। পাশাপাশি বড় ধরনের সাইবার হামলাতেও এটি ব্যবহার করা হতো। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের সেই অভিযানে জার্মানির কেন্দ্রীয় বিশেষ পুলিশ বাহিনী জিএসজি ৯-এর সদস্যসহ কয়েক শত পুলিশ অংশ নেন। লোহার দরজাযুক্ত মাটির নিচে পাঁচতলা অবধি বিস্তৃত ন্যাটোর সাবেক বাংকারটিতে অনুপ্রবেশে সক্ষম হয় তারা। ভবনটি একটি এক দশমিক তিন হেক্টরের সুরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত। অভিযানের সময় সেটির চারপাশে বেড়া এবং নজরদারি ক্যামেরা ছিল।