মতামত দেওয়া যাবে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের ওপর

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২১-এর প্রাথমিক খসড়া প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন হওয়ায় আইনের ওপর মতামত আহ্বান করা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আইনটির প্রাথমিক খসড়া (বিল) প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের যে কোনো নাগরিক/প্রতিষ্ঠান যঃঃঢ়ং://সরহষধহফ.ঢ়ড়ৎঃধষ.মড়া.নফ/ভড়ৎসং/ভড়ৎস/ঙঢ়রহরড়হং এই ঠিকানায় গিয়ে প্রাথমিক খসড়ার উপর তার মূল্যবান মতামত দিতে পারবেন। ভূমি মন্ত্রণালয় জানায়, ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২১-এর অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে-ব্যক্তি মালিকানাধীন বা সরকারি খাসভূমিসহ সরকারি যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মালিকানাধীন ভূমিতে প্রকৃত মালিকদের স্বত্ব ও দখলভোগ নিশ্চিত করা, ভূমিলিপ্সু কোনো ব্যক্তির জালিয়াতি বা প্রতারণামূলক ও অন্যের সঙ্গে যোগসাজশে সৃষ্ট দলিলমূলে বা কোনো দলিল ব্যতিরেকেই ওই ব্যক্তি কর্তৃক অবৈধভাবে ভূমির দখল গ্রহণ বা দখল গ্রহণের চেষ্টা বা এর ক্ষতিসাধন রোধ করা। অবৈধভাবে ভূমির দখল গ্রহণ বা দখল গ্রহণের চেষ্টা বা এর ক্ষতিসাধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পেশিশক্তির ব্যবহার, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধ ও দ্রম্নত প্রতিকার নিশ্চিত করা। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২১-এর প্রাথমিক খসড়ায় ভূ-সম্পদ সম্পর্কিত ২২ ধরনের/শ্রেণির অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সব অপরাধের শ্রেণি ও মাত্রা ভেদে নূ্যনতম ৩ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদন্ড এবং নূ্যনতম ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ডের বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে প্রাথমিক খসড়ায়। এ ছাড়া শাস্তি পাওয়ার পরও আবার অপরাধ করলে আগের শাস্তির দ্বিগুণ দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি শ্রেণির অপরাধকে অজামিনযোগ্য হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া জমির পরিমাণ ও অপরাধীর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বর্ধিত সাজারও বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবনায়। প্রসঙ্গত দেশে বেশির ভাগ মামলা হয় ভূমিকেন্দ্রিক বিরোধের জেরে। ভূমি সম্পর্কিত অপরাধ ও বেআইনি কর্মকান্ড প্রতিকারকল্পে দাখিলকৃত দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা দীর্ঘ সময় বিচারাধীন থাকায় উভয় ক্ষেত্রে সৃষ্ট মামলাজট জনগণের জন্য যে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা নিরসনে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২১ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রাথমিক খসড়ার উপর নাগরিক ও অংশীজনের মতামত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাপ্ত মতামতের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে প্রাথমিক খসড়াটি সংশোধন করে সংশোধিত খসড়া প্রথমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রমিতীকরণের জন্য পাঠানো হবে। ওই প্রমিতিকৃত খসড়াটি পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর মধ্যদিয়ে আইন প্রণয়নের পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।