আদালতে অন্তবার্স প্রদশর্ন

আয়ারল্যান্ডে তুলকালাম

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধষের্ণর অভিযোগে অভিযুক্ত একজন ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়ার এক সপ্তাহ পর আয়ারল্যান্ডে এ সম্পকের্ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিচার চলাকালে আদালতে অভিযুক্ত-পক্ষের আইনজীবী বিচারকদের বলেন: ‘তার পোশাক কেমন ছিল সেটি আপনাদের দেখতে হবে। সে একটি থং (এক ধরনের আন্ডার গামের্ন্টস) পরা ছিল যার সামনের দিকে ছিল লেস লাগানো।’ ২৭ বছর-বয়সী অভিযুক্ত ব্যক্তিটি এরপর ধষের্ণর দায়ে দোষী সাব্যস্ত হননি। এই বিতকের্র জেরে একজন আইরিশ সংসদ সদস্য একটি লেসের তৈরি থং পালাের্মন্টে তুলে ধরেন এবং এর মাধ্যমে ধষের্ণর ঘটনায় ‘নিয়মিতভাবে ভুক্তভোগীকে দোষারোপের’ ঘটনাকে সামনে তুলে ধরেন। রুথ কোপিংগার আইরিশ পালাের্মন্টে নীল লেস লাগানো অন্তবার্সটি তুলে ধরেন ১৩ নভেম্বর। ‘এখানে এভাবে এই থং প্রদশের্নর বিষয়টি নিঃসন্দেহে বিব্রতকর...কিন্তু যখন একজন ধষের্ণর শিকার মানুষ বা একজন নারীর অন্তবার্স আদালতে প্রদশর্ন করা হয় সেই অন্যায্য ঘটনার ক্ষেত্রে তার কেমন অনুভ‚তি হয় বলে আপনারা মনে করেন?’ বিচারে কী ঘটেছে? যে মামলায় অভিযুক্ত লোকটিকে ধষের্ণর ঘটনা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে, তা আইরিশ পত্রিকায় রিপোটর্ হয়েছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেন, তার এবং মেয়েটির মধ্যে যে যৌন সম্পকর্ হয়েছিল সেটি ঘটেছিল দুজনের সম্মতিতেই। তার সিনিয়র পরামশর্ক এলিজাবেথ ও’কনেল আদালতে তুলে ধরেন, যা ব্যাপকভাবে মনোযোগ আকষর্ণ করে এবং অনলাইনে সিরিজ ধারাবাহিক বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু হয়। ‘এই প্রমাণাদি কি এই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছে যে মেয়েটি আসামিকে আকৃষ্ট করেছিল এবং কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য এবং কারও সঙ্গে থাকার জন্য?’ সে প্রশ্ন তোলে। আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে যে সে কোন ধরনের কাপড় পরতো। সে এমন একটি থং পরেছিল যেটির সামনের দিকে লেস লাগানো। বিক্ষোভের শুরু যেভাবে আদালতের রায়ের ওপর প্রকাশনাটি প্রকাশের পরপরই ব্যারিস্টারের যুক্তিতকর্ সমালোচনা করেন ডাবলিনের রেপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রধান। যদিও তিনি রায় নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি, তিনি আইনি ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি তুলেছেন। অব্যাহত মিডিয়া নজরদারির মধ্যে আইরিশ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা আদালতে এ ধরনের বক্তব্যে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে। আদালতে এ ধরনের কৌশল উপস্থাপনের প্রতিবাদে আইরিশ নারীরা হ্যাশট্যাগ ‘দিস ইজ নট কনসেন্ট’ দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তাদের আন্ডার গামের্ন্টসের আকৃতি, রং এবং ম্যাটেরিয়ালের ছবি তুলে পোস্ট করতে থাকেন। অনেকেই অন্যান্য দেশের উদাহরণ তুলে ধরেন যে সব দেশের কঠোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং ধষের্ণর বিচারে কী ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বিচারকরা তাদের অপরাধ বিবেচনায় নিতে পারেন। আয়ারল্যান্ডের জাতীয় পালাের্মন্টে লেস লাগানো আন্ডারওয়্যার প্রদশের্নর পর মিজ কপিংগার একজন সমথর্ককে বলেন, বিচারক এবং কেঁৗসুলিদের জন্য বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ চালু করতে হবে। এই বিচারকে ঘিরে বিতকর্ স্মরণ করিয়ে দেয় দুজন হাই-প্রফাইল রাগবি খেলোয়াড়ের বিচারকে ঘিরে বিক্ষোভের কথা। তাদের এই বছরের শুরুর দিকে ধষের্ণর ঘটনায় নিদোর্ষ বলে উত্তর আয়ারল্যান্ডের আদালত। এই ঘটনা সীমান্তের দুদিকেই ব্যাপক বিতকের্র সূত্রপাত ঘটায়। বিবিসি অবলম্বনে