জেনে নিন

বাংলাদেশের আইনে গভর্পাত

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
১৮৬০ সালের দÐবিধির ৩১২ থেকে ৩১৪ ধারায় গভর্পাত সম্পকের্ বলা হয়েছে। ভ্রƒণ গভের্ স্থিতি লাভের পর থেকে গভর্কাল পূরণ হওয়ার আগে গভির্স্থত ভ্রƒণকে অপসারণ করাকে গভর্পাত বলে। মনে করুন, একজন গভর্বতী নারী চিকিৎসাধীন আছেন। জরুরি অস্ত্রোপচারের সময় তিনি যখন অজ্ঞান, ঠিক সেই মুহূতের্ চিকিৎসক যদি মনে করেন তার গভর্পাত ঘটানো জরুরি, তাহলে কি তিনি তা করতে পারবেন? হ্যঁা, আইন সেই অনুমতি দিয়েছে। তবে তাকে পরবতীের্ত প্রমাণ করতে হবে, তিনি সরল বিশ্বাসে ওই নারীর জীবন রক্ষাথের্ই অমনটি করেছিলেন। দÐবিধির ৩১২ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো স্ত্রীলোকের গভর্পাত ঘটান এবং যদি সেই গভর্পাত সরল বিশ্বাসে ওই স্ত্রী লোকের জীবন রক্ষাথের্ না করা হয়ে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি তিন বছর পযর্ন্ত যে কোনো মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদÐ কিংবা জরিমানা দÐ অথবা উভয় দÐে দÐিত হবেন। এ ক্ষেত্রে যে নারীর গভর্পাত করা হয়েছে, তিনি যদি তার গভের্ শিশুর বিচরণ অনুভব করে থাকেন, তাহলে গভর্পাত ঘটানো ব্যক্তিকে সাত বছর পযর্ন্ত যে কোনো মেয়াদের কারাদÐ এবং একই সঙ্গে অথর্দÐে দÐিত করা যাবে। এতক্ষণ পযর্ন্ত গভর্পাতের যে বিধান বণর্না করা হলো, তাতে গভর্পাত ঘটানোর জন্য তৃতীয় ব্যক্তিকে সাজা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। কোনো নারী যদি নিজ উদ্যোগে নিজের গভর্পাত ঘটান, সে ক্ষেত্রে তার কি কোনো সাজা হবে? দÐবিধির ৩১২ ধারার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, যে নারী নিজ থেকে গভর্পাত ঘটান, তিনিও এই ধারার আওতাভুক্ত হবেন। এবার ধরা যাক, একজন নারীর অনুমতি ছাড়াই যদি কেউ অসদুদ্দেশ্যে গভর্পাত ঘটান, তার সাজা কী? ১৮৬০ সালের দÐবিধি আইনের ৩১৩ নম্বর ধারায় গভর্বতী স্ত্রীলোকের অনুমতি ছাড়া ৩১২ ধারার অনুরূপ অপরাধ করলে তার শাস্তি ১০ বছর পযর্ন্ত কারাদÐ এবং অথর্দÐ বা উভয় দÐে দÐিত হবে বলে উল্লেখ আছে। ৩১৪ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি গভর্বতী স্ত্রীলোকের গভর্পাত ঘটানোর উদ্দেশ্যে করা কোনো কাজের ফলে সেই স্ত্রী লোকের মৃত্যু ঘটে, তাহলে সেই ব্যক্তি ১০ বছর পযর্ন্ত যে কোনো মেয়াদের কারাদÐে দÐিত হবেন এবং একই সঙ্গে অথর্দÐেও দÐিত হবেন। ওই কাজটি যদি নারীর সম্মতি ছাড়া করা হয় তাহলে যাবজ্জীবন কারাদÐে বা উপরোল্লিখিত দÐে দÐিত করা যাবে। সংকলন : হাসান শাহরিয়ার