পাকিস্তানের বর্তমান প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ আগামী ১ ফেব্রম্নয়ারি অবসরে যাচ্ছেন। এরপর ২ ফেব্রম্নয়ারি নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারক উমর আতা বান্দিয়াল। ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর তাকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ করা হয়েছিল। পাকিস্তানের সংবিধানের অধীনে সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে সিনিয়র বিচারক উমর আতা বান্দিয়ালকে প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতাবলে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ ২ ফেব্রম্নয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ২০২৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই দায়িত্বে থাকবেন তিনি। বান্দিয়াল যখন তার দায়িত্ব শুরু করবেন, তখন তার সামনে থাকবে ৫১ হাজার ৭৬৬টি মামলা। শুধু সুপ্রিম কোর্টে এসব মামলা মুলতবি অবস্থায় আছে। সর্বোচ্চ আদালত, জেলা আদালতসহ পাকিস্তানের বিচার বিভাগে এমন মামলার সংখ্যা কমপক্ষে ২১ লাখ। বিচারপতি বান্দিয়ালের জন্ম ১৯৫৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর লাহোরে। তিনি কোহাট, রাওয়ালাপিন্ডি, পেশোয়ার এবং লাহোরে বিভিন্ন স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর কেমব্রিজ থেকে ল' ত্রিপোস ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনের অভিজাত লিঙ্কনস ইন থেকে ব্যারিস্টার অ্যাট ল' সম্পন্ন করেছেন। ১৯৮৩ সালে লাহোর হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন। এর দু'চার বছরের মধ্যে তিনি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লাহোরে আইনি চর্চা করার সময় বিচারপতি বান্দিয়াল প্রধানত বাণিজ্যিক, ব্যাংকিং, ট্যাঙ্ এবং সম্পদ বিষয়ক মামলা দেখাশোনা করেছেন। ১৯৯৩ সালের পর তিনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিরোধ মোকাবিলায় দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালের ৪ ডিসেম্বর তিনি লাহোর হাইকোর্টের একজন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০০৭ সালের নভেম্বরে সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফের সময়ে প্রভিশনাল কনস্টিটিউশন অর্ডারে অধীনে নতুন করে বিচারক হিসেবে শপথ নিতে অস্বীকৃতি জানান।
