গুজরাটে মাইকে আজান বন্ধে মামলা হলো হাইকোর্টে

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
ভারতের গুজরাট রাজ্যে মাইকে আজানের শব্দে সমস্যা হয় এমন অভিযোগ নিয়ে জনস্বার্থে একটি মামলা দায়ের করেছেন এক ডাক্তার। এ ঘটনায় রাজ্য সরকারের প্রতি নোটিশ জারি করেছে গুজরাট হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার ও বিচারপতি আশুতোষ শাস্ত্রীর দ্বৈত বেঞ্চ গত মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রম্নয়ারি) এ নোটিশ জারি করেন। আগামী ১০ মার্চ রাজ্য সরকারকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে, গুজরাটের গান্ধীনগরের বাসিন্দা ডাক্তার ধর্মেন্দ্র প্রজাপতি মাইকে আজানের কারণে শব্দদূষণ হয় এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়, এমন অভিযোগ তুলে গুজরাটে মাইকে আজান নিষিদ্ধের জন্য মামলা করেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্মেন্দ্র গান্ধীনগরের সেক্টর ফাইভসির বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে মসজিদে মুসলিস্ন উপস্থিতি কম হলেও তার এলাকার মুয়াজ্জিন পাঁচ ওয়াক্ত লাউডস্পিকারে আজান দেন। তার দাবি, এতে আশপাশে বসবাস করা ব্যক্তিদের খুব অসুবিধা হয় এবং এটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের সুখ-শান্তিতে বাস করার অধিকার রয়েছে বলেও জানান তিনি। এ সময় আদালত ধর্মেন্দ্রর আইনজীবী ধর্মেশ গুরজারের কাছে জানতে চান, লাউডস্পিকারের শব্দ কতটুকু থাকা উচিত। এ সময় তিনি আদালতকে বলেন, শব্দদূষণের গাইডলাইন অনুযায়ী শব্দ ৮০ ডেসিবলের বেশি হওয়া উচিত নয়। কিন্তু আজানের সময় ২০০ ডেসিবলের বেশি শব্দ হয়। তখন আদালত জানতে চান, বিয়ে এবং অন্য উৎসবের সময় যে শব্দদূষণ হয়, সে বিষয়ে কী বলবেন? ধর্মেশ বলেন, বিয়ে মানুষের জীবনে একবারই হয়, তাই তখন শব্দ করে গান-বাজনার বিষয়টি বোধগম্য। তিনি বলেন, কিন্তু যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী নয়, তাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত মাইকে আজান শোনা শব্দদূষণ। এ সময় এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি রায়কে নিজেদের যুক্তির পক্ষে তুলে ধরেন ধর্মেশ। ধর্মেশ আরও বলেন, লাউডস্পিকারের কারণে শব্দদূষণ গুরুতর মানসিক অসুস্থতা, বয়স্ক ব্যক্তি এবং ছোট শিশুদের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে এবং এটি সাধারণ মানুষের কাজের দক্ষতাকেও প্রভাবিত করে। সংক্ষেপে বলতে গেলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।