ইসরাইলের সুপ্রিম কোর্টে স্থায়ী বিচারক হলেন একজন মুসলিম
আইন ও বিচার ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ইসরাইলের সুপ্রিম কোর্টে প্রথমবারের মতো স্থায়ী নিয়োগ পেয়েছেন একজন মুসলিম বিচারক। সম্প্রতি দেশটির সুপ্রিম কোর্টে চারজন নতুন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে একজন খালেদ কাবুব। ৬৩ বছর বয়সি এই বিচারক প্রথম মুসলিম হিসেবে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পেলেন। জাফায় জন্ম নেওয়া খালেদ কাবুব তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রি নিয়েছেন।
১৫ জন বিচারক নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হয়। নিজে পদত্যাগ না করলে কিংবা তাদের সরিয়ে দেওয়া না হলে বিচারকরা ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করতে পারেন।
এর আগে ১৯৯৯ সালে আবদেল রহমান জোয়াবি নামে একজন মুসলিম বিচারক সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার মেয়াদ ছিল এক বছর।
প্রসঙ্গত, ইসরাইলের ২০ শতাংশের বেশি নাগরিক আরব। তারা ইসরাইলি-আরব হিসেবে পরিচিত। ২০০৩ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টে অন্তত একজন ইসরায়েলি-আরব বিচারক আছেন। তবে তারা সবাই খ্রিষ্টান ছিলেন।
ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের নানা বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
একই সঙ্গে স্ত্রীদের তালাক দিলেন ৩ ভাই!
\হআইন ও বিচার ডেস্ক
যে কোনো একটি সংসার নানা কারণের ভেঙে যেতে পারে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু যদি একসঙ্গে তিনভাই-ই তাদের স্ত্রীদের তালাক দেয়, তাহলে সেটা অবাক হওয়ার বিষয়। আর বাস্তবে এমন অবাক করা ঘটনাই ঘটেছে। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তিন ভাই তাদের স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তাদের বিচ্ছেদের কারণটাও হৃদয়বিদারক, এমনটাই জানিয়েছে গালফ নিউজ।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলজেরিয়ার বাসিন্দা ওই তিন ভাই বাড়ি ফিরে দেখেন, তাদের অসুস্থ মাকে পাশের বাসার এক নারী গোসল করিয়ে দিচ্ছেন। স্ত্রীদের অসুস্থ মাকে দেখভাল করতে না দেখে রেগে যান ওই তিন ভাই-ই। এই কারণে একই সঙ্গে তিনজনই তাদের স্ত্রীকে তালাক দেন।
জানা গেছে, ওই তিন ভাইয়ের একটি বোনও আছে। সপ্তাহে দুদিন সেই বোনই এসে মাকে গোসল করিয়ে দিতেন। পাশাপাশি মায়ের দেখভালও করতেন। কিন্তু সম্প্রতি তার স্বামীর ক্যানসার ধরা পড়ায় তিনি আসতে পারছেন না।
এদিকে, ওই তিন ভাই মায়ের দেখাশোনা করার জন্য স্ত্রীদের বললেও তারা দেখাশোনা করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। অসুস্থ মাকে প্রতিবেশীদের কাছে দয়া ভিক্ষা করতে দেখে রেগে গিয়ে তারা এই সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে।
টিকা নিলেই লোকাল ট্রেনে ওঠা যাবে
মহারাষ্ট্র সরকারের এমন নির্দেশকে বেআইনি বললেন আদালত
ম আইন ও বিচার ডেস্ক
সম্পূর্ণ টিকা ডোজ নেওয়া থাকলেই লোকাল ট্রেনে উঠা যাবে, কোভিড স্ফীতিতে এই নির্দেশ জারি করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। এই নির্দেশকে বেআইনি বলল মুম্বাই হাইকোর্ট। এর ফলে জনসাধারণের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে আদালত মন্তব্য করেছেন।
দু'টি টিকা না নেওয়া যাত্রীরা লোকাল ট্রেন ব্যবহার করতে পারবেন না, সরকারের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মুম্বাই হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত এই মন্তব্য করেছেন।
এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি এমএস কার্নিকের ডিডিশন বেঞ্চ বলে, সরকারের এই নির্দেশ বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের পরিপন্থি। সরকারের তৎকালীন মুখ্যসচিব সীতারাম কুন্তে এই নির্দেশ জারি করেন।
হাইকোর্ট বলেন, 'সাবেক মুখ্যসচিবের দেওয়া নির্দেশটি আইনের সঙ্গে মেলে না। এই বেআইনি আদেশের কারণে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার চূড়ান্তভাবে প্রভাবিত হয়েছে।'
এই মামলার আবেদনকারীদের এক আইনজীবী নীলেশ ওঝা প্রশ্ন তুলে বলেন, সরকারের এই নির্দেশের ফলে সরকার টিকাপ্রাপ্ত এবং টিকাবিহীন লোকেদের মধ্য বৈষম্য তৈরি করছে। যেখানে কেন্দ্র বা মহারাষ্ট্র সরকার টিকা নেওয়াকে বাধ্যতামূলক করেনি সেখানে সরকার কী করে এই নির্দেশ জারি করল। আদালত বলেন, আমরা আশা করি, সরকারের কার্যনির্বাহী কমিটি ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত নেবে'।