লিগ্যাল এইড

জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সরকারি টোল ফ্রি হেল্পলাইন সাভির্স

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
সরকারি সেবাসমূহ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রæত জনগণের কাছে নিয়ে আসতে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেহেতেু এ দেশের জনসংখ্যার এক বড় অংশের হাতে মোবাইল ফোন আছে, কাজেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সরকারি সেবার বাতার্ দ্রæততম সময়ে জনগণের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা সম্ভব। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অধীনে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা ‘সকল মানুষের বিচারে প্রবেশাধিকার’Ñ এই সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় সরকারি অথার্য়নে আইনি পরামশর্ ও মামলা পরিচালনায় আইনগত সহায়তা দিয়ে আসছে। রাষ্ট্রের অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধা-বঞ্চিত সব মানুষের এই সেবা প্রদান করার জন্য বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকার অসহায়, দরিদ্র, নিযাির্তত সব শ্রেণির মানুষের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠাকে সবোর্চ্চ গুরুত্বারোপ করে ‘আইনি সেবা’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সম্পূণর্ সরকারি অথার্য়নে জাতীয়পযাের্য় সম্পূণর্ টোল ফ্রি একটি নম্বরের মাধ্যমে হেল্পলাইন সাভির্স কাযর্ক্রম বাস্তবায়ন করেছে। এই টোল ফ্রি নম্বরটি হলো : ১৬৪৩০। এই শটের্কাড নম্বরটি নিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে একটি কল সেন্টার নিমার্ণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ এপ্রিল ২০১৬ সালে সরকারি আইনগত সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন কলসেন্টারটি উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনের পর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত সরকারি আইনি সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন কলসেন্টার টোল ফ্রি-‘১৬৪৩০’ নম্বরে মোট ৩৯১৬১ জন আইনি পরামশর্ ও অন্যান্য সেবা নিয়েছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ বিনামূল্যে আইনি সহায়তা ও পরামশর্ নিতে ফোন করছেন টোল ফ্রি ১৬৪৩০ নম্বরে, যাদের বড় অংশ নারী ও শিশু। শুরুর দিকে শিশুদের আলাদা আইনি সহায়তা প্রদানের ভাবনা না থাকলেও বাস্তবতা ভিন্নরূপ নেয়ায় ১ নভেম্বর ২০১৮ থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ছাড়া শিশুদের আলাদাভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে সংস্থাটি। সংস্থাটির তথ্য অনুসারে, শিশুদের জন্য আলাদা সেবা চালুর পর থেকেই শুধু নভেম্বর মাসেই এখন পযর্ন্ত সারা দেশের ২৫৩ জন শিশু ফোন করে আইনি সহায়তা নিয়েছে। মেয়েদের তুলনায় ছেলে শিশুরাই বেশি কল করে আইনি সহায়তা নিচ্ছে বলেও সংস্থার সূত্রে জানা গেছে।