সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জামাির্নতে পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে আইন ও বিচার ডেস্ক জামাির্নতে নারীবিষয়ক মন্ত্রী ফ্রান্সিসকা গিফে ২০১৭ সালের পারিবারিক সহিংসতার পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানিয়েছেন প্রতি তিনদিনে নিজের সঙ্গী বা পুরনো সঙ্গীর দ্বারা অন্তত একজন নারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। তিনি সহিংসতা নিরসনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছেন। গত তিন বছরে জামাির্নতে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে ১০ ভাগ। তবে এগুলো কেবল তাদের ঘটনা, যারা এ সম্পকের্ থানায় অভিযোগ করেছেন। বাস্তবিক সংখ্যাটা আরও বেশি বলে আশঙ্কা করছেন মন্ত্রী। ২০১৭ সালে ১ লাখ ৪০ হাজার নারী-পুরুষ তাদের সঙ্গীদের দ্বারা সহিংসতার শিকার হয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ করেছেন। গড়ে প্রতিদিন অন্তত একজন তার প্রেমিক, স্বামী, প্রেমিকা বা স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। এদের ১৪৭ জনের ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গীরা সফল হয়েছেন, অথার্ৎ তাদের হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ধষর্ণ, শারীরিক নিযার্তন, শ্বাসরুদ্ধ করা এবং যৌন হয়রানির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে ৮২ শতাংশ মামলায় নারীরা সহিংসতার শিকার হয়েছেন। আর গত বছর নারীদের হাতে খুন হয়েছেন ৩২ জন প্রেমিক বা স্বামী। এদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই জামার্ন নাগরিক। ওয়াকার্সর্ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ভল্ফগাং স্টাডলের বলেছেন, তিনি এই পরিসংখ্যান দেখে আতঙ্কিত এবং এ সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সহিংসতা চালানো পুরুষদের বেশির ভাগই জামার্ন এবং তারা সব শ্রেণি-পেশার। ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সের পুরুষরা বেশি সহিংস। মদ্যপানও একটি কাযর্কারক হিসেবে কাজ করেছে অনেক ক্ষেত্রে। জামাির্নতে পারিবারিক সহিংসতা ও নিযার্তনের শিকার নারীদের জন্য ‘নারী আশ্রয়কেন্দ্র’ রয়েছে ৩৫০টি, আছে ৬০০টি বিশেষ পরামশর্ কেন্দ্র, যারা প্রতিবছর ৩০ হাজার নারীকে সহায়তা দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ১৭টি ভাষায় ২৪ ঘণ্টা ফোনে সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। নতুন পরিসংখ্যান প্রকাশের পর নারীবিষয়ক মন্ত্রী গিফে এ খাতে অথর্ সহযোগিতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া নতুন এক ধরনের ফোন লাইন সুবিধা চালু করার কথা জানিয়েছেন তিনি।