সুপ্রিম কোর্ট বারের কাছে জ্যেষ্ঠ চার আইনজীবীর ৩ প্রশ্ন

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২২, ০০:০০

ম আইন ও বিচার ডেস্ক
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২২-২৩ কার্যবর্ষের কার্যনির্বাহী কমিটির দুই দিনব্যাপী নির্বাচন ১৫ ও ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এ নির্বাচনের আগে তিনটি প্রশ্নের জবাব চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন সমিতিরই জ্যেষ্ঠ চারজন আইনজীবী। তারা হলেন- ডক্টর কামাল হোসেন, এম আমীর-উল ইসলাম, রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও মইনুল হোসেন। তারা চারজনই সমিতির সাবেক সভাপতি। তিনটি প্রশ্নের জবাব চেয়ে জ্যেষ্ঠ চার আইনজীবীর সই করা একটি চিঠি গত ২৮ ফেব্রম্নয়ারি সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি বরাবর পাঠানো হয়। কার্যনির্বাহী কমিটিকে দ্রম্নত জবাব দিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, সমিতির সভাপতি (২০২১-২২ মেয়াদে নির্বাচিত) জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু গত বছরের ১৪ এপ্রিল মারা যান। সভাপতি হিসেবে তার মেয়াদ ছিল গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এ অবস্থায় সমিতির সভাপতি কে? অপর দুটি প্রশ্ন হচ্ছে, অযোগ্যদের নাম কেন ২০২২-২৩ নির্বাচনে ভোটার তালিকায় এসেছে। আসছে নির্বাচনে সদস্যদের ভোট ইলেকট্রনিক্যালি গণনার ম্যানডেট (ক্ষমতা) কীভাবে এলো। চিঠিতে উলেস্নখ করা হয়, কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো সভা ছাড়া ইভিএম বা অন্য কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্যালি ভোট গণনা দৃশ্যত সমিতির গঠনতন্ত্রের ১৫(৬) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে আরও বলা হয়, গঠনতন্ত্র ও সদস্য বিধিমালা একসঙ্গে পড়লে দেখা যায়, সমিতির সদস্যরা সাধারণত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে (অধস্তন আদালতে পেশা পরিচালনাকারী নয়) পেশা পরিচালনা করবেন এবং ঢাকা মহানগর এলাকায় তাদের শুধু একটি কার্যালয় থাকবে। তবে বর্তমান 'ভোটার তালিকা'য় এমন আইনজীবীদের নাম আছে উলেস্নখ করে চিঠিতে বলা হয়, যারা সাধারণত অধস্তন আদালতে পেশা পরিচালনা করেন, ঢাকা মহানগর এলাকার বাইরে। এর মাধ্যমে তারা নিজেরাই সদস্য হওয়ার অযোগ্য, যে কারণে তারা সমিতির ২০২২-২৩ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য নন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যত দ্রম্নত সম্ভব ভোটার তালিকা সংশোধনের পাশাপাশি বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বানের মাধ্যমে অ্যাডহক কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে চিঠিতে।