সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০২২, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বড় বোন সেজে সাক্ষ্য দিতে এসে কারাগারে নারী ম আইন ও বিচার ডেস্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় বড় বোনের পরিবর্তে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন ছোট বোন। সন্দেহ হওয়ায় আপত্তি তোলেন বিবাদী পক্ষের আইনজীবী। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ওই নারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটে। ওই নারীর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত (৩২)। তিনি জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডা মার্কাজপাড়ার মৃত নূর এ মুসলিমের মেয়ে। জানা গেছে, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিল। বাদী পক্ষে সাক্ষী দেওয়ার কথা ছিল আলেয়া বেগম আলো নামে এক নারীর। আদালতের এজলাসে সাক্ষী দিতে আসা এক নারী নিজেকে আলেয়া বেগম আলো বলে পরিচয় দেন। কিন্তু বিবাদী পক্ষের আইনজীবী উজ্জ্বল মিয়া তাকে দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন। বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ওই নারীকে পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। এ সময় ওই নারী আলেয়া বেগম আলো নাম লেখা অস্পষ্ট ছবির চেহারার একটি আইডি কার্ড আদালতে দেখান। এতে আদালত আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করতে বলেন।এর দীর্ঘক্ষণ পর তিনি তার আসল পরিচয় জানান। শনাক্ত হয়, সেই নারী আলেয়া বেগম আলো নন, তিনি আলোর আপন ছোট বোন জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। ভুয়া সাক্ষ্য দেওয়ার ঘটনায় আদালত ওই নারীকে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন। ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে স্ত্রীর বাড়িতে ডাকাতি, আইনজীবী স্বামী গ্রেপ্তার! ম আইন ও বিচার ডেস্ক প্রায় দুই বছর আগে আইনজীবী স্বামীর বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার মামলা করেছিলেন আইনজীবীর স্ত্রী। বর্তমানে আদালতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে স্ত্রীর বাড়িতে গুন্ডা পাঠিয়ে লক্ষাধিক টাকা ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন স্বামী। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় এ ঘটনা ঘটেছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। অভিযোগকারী ভারতের কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী কোয়েল মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি ভাবতেও পারেননি এমন কিছুও করতে পারেন তার স্বামী। তদন্তকারীরাও এই ঘটনায় অনেকটা অবাক। ঘটনার সূত্রপাত গত ২২ জানুয়ারি রাতে। বেলেঘাটার সুরাহ ইস্ট রোডে কোয়েলের বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতি হয়। তাকে বন্দুক ঠেকিয়ে নগদ লাখখানেক টাকা এবং সোনা ও রুপার গয়না লুট করে নিয়ে যান কয়েকজন দুষ্কৃত। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে এর আগে ছয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যাদের মধ্যে রয়েছেন বিহারের বাসিন্দাও। গত শুক্রবার (১১ মার্চ) শুভাশিস দাশগুপ্ত নামে সল্টলেকের এক বাসিন্দাকে চেতলা সেন্ট্রাল রোড থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনিই এই ডাকাতির ঘটনার মূলহোতা বলে পুলিশের ধারণা। পুলিশ সূত্রে খবর, লক্ষাধিক টাকা দিয়ে ভিন রাজ্যের গুন্ডা ভাড়া করে তিনি কোয়েলের বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। মাসখানেক ধরে এর পরিকল্পনা করেন তিনি। কোয়েলের দাবি, শুক্রবার ধৃত ওই ব্যক্তি আসলে তার স্বামী। যিনি নিজেও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী বলে সূত্রের খবর। কোয়েল-শুভাশিসের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। বেশ কিছু দিন ধরে তাদের বনিবনা হচ্ছিল না। তাই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু প্রতিহিংসাবশত তিনি যে এমন কোনো কাজ করতে পারেন তা কল্পনাও করতেও পারেনি। কোয়েল বলেন, বিয়ের আগে থেকেই আমাদের পরিচয়। ওকে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছি। পুরো ঘটনায় আমি স্তম্ভিত। তিনি বলেন, অনেকের হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা লড়েছি। তাদের কেউও তো এমন ক্ষতি করার চেষ্টা করছে বলে জানা নেই। আমার লজ্জা লাগছে যে, আমার স্বামী এমন করলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বেলেঘাটার ওই বাড়িতে কোটি টাকা মূল্যের জিনিস রয়েছে বলে দুষ্কৃতদের ভাড়া করেন শুভাশিস, তবে ডাকাতি করতে গিয়ে এমন কিছু না পেলে শুভাশিসের সঙ্গে তাদের ঝামেলা শুরু হয়।