আইনজীবী স্টেলা মরিসকে বিয়ে করছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। যুক্তরাজ্যের বেলমার্শ কারাগারে ২৩ মার্চ এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। বিয়েতে মাত্র চারজন অতিথিকে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে বন্দি অ্যাসাঞ্জকে কারাগারে বাগ্‌দত্তা স্টেলা মরিসকে বিয়ে করার অনুমতি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, স্টেলা মরিসের বিয়ের পোশাকের ডিজাইন করছেন জনপ্রিয় ব্রিটিশ ডিজাইনার ভিভিয়েন ওয়েস্টউড। অ্যাসাঞ্জের বাবা ও তাদের পূর্বপুরুষরা স্কটল্যান্ডের হওয়ায় বিয়েতে অ্যাসাঞ্জ পরবেন সামরিক ধাঁচে তৈরি স্কাটের মতো স্কটল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী বিয়ের পোশাক। এটিরও ডিজাইনার ভিভিয়েন ওয়েস্টউড।

বিয়ে নিয়ে উচ্ছ্বসিত স্টেলা মরিস। গতকাল রোববার অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। স্টেলা মরিস বলেন, 'সামগ্রিক পরিস্থিতি বিরূপ হলেও আমরা অবশ্যই বিয়ে নিয়ে খুবই উত্তেজিত। আমাদের বিয়ের পরিকল্পনায় বেআইনি হস্তক্ষেপও করা হচ্ছে।'

\হস্টেলা আরও বলেন, 'জুলিয়ান বিয়ের জন্য মুখিয়ে আছে, কারণ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানোর অনেক দিন পর অবশেষে আমাদের পরিণয় হচ্ছে। সে বিদেশি একটি শক্তির (যুক্তরাষ্ট্র) ইশারায় এখন বন্দি। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও গঠন করা হয়নি। এটা সম্পূর্ণরূপে একজনের জন্য অসম্মানজনক।'

চেক ডিসঅনার মামলা দায়েরে আদালতের অধিক্ষেত্রের প্রাসঙ্গিকতা

যুক্তরাজ্যের বিবাহ আইন-১৯৮৩ এর আওতায় বন্দিরা কারাগারে বিয়ের জন্য আবেদনের সুযোগ পান। আবেদন মঞ্জুর হলে সম্পূর্ণ খরচ নিজেদের মিটিয়ে বিয়ে করতে হবে তাদের। ২০২১ সালের শেষ দিকে কারাগারে বিয়ে করার অনুমতি চেয়ে কারা গভর্নরের কাছে আবেদন করেন অ্যাসাঞ্জ। নভেম্বরে তার আবেদন মঞ্জুর হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী দলে যোগ দেন স্টেলা মরিস। অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে সেবারই প্রথম দেখা হয় তার। এরপর প্রায় প্রতিদিন ইকুয়েডর দূতাবাসে গিয়ে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করতেন। এভাবে তাদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া তৈরি হয়।

২০১৫ সালে একে অপরের প্রেমে পড়েন। এর দুই বছর পর বাগদান সম্পন্ন হয়। ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকাকালেই গর্ভধারণ করেন তিনি। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ও স্টেলা মরিস যুগলের দুই সন্তান আছে। অবশেষে কারাগারে এই যুগলের বিয়ে হচ্ছে।

উলেস্নখ্য, মার্কিন গোপন নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দেওয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত গুপ্তচরবৃত্তির আইনে করা মামলার আসামি। ২০১২ সাল থেকে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে জামিনের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাজ্য পুলিশ। তখন থেকে বেলমার্শ কারাগারে বন্দি তিনি।