জেনে নিন

আইনের দৃষ্টিতে অপ্রকৃতিস্থ

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যে বা যিনি ভালো-মন্দ বা কাজের প্রকৃতি বুঝতে পারেন না, তাকে অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তি বলা হয়। দÐবিধির ৮৪ ধারা অনুসারে কোনো ব্যক্তি কতৃর্ক কৃত কোনো কিছু অপরাধ নয় যে ব্যক্তি অনুরূপ অপরাধ অনুষ্ঠানকালে অপ্রকৃতিস্থতার কারণে কাযির্ট প্রকৃতি সম্পকের্ অবহিত হতে সমথর্ ছিল না অথার্ৎ সে যে আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ বা আইনের পরিপন্থী কাজ করছে তা বোঝার বা জানার সক্ষমতা তার ছিল না। সারা পৃথিবীজুড়ে ফৌজদারি আইনের অপরাধের ক্ষেত্রে এটি একটি বেশ পরিচিত ডিফেন্স। অপরাধ করার সময়কালে কেউ যদি নিজের অপ্রকৃতিস্থ অবস্থার প্রমাণ করতে পারেন, তবে অনেক ক্ষেত্রেই তার অপরাধের দায় থেকে অব্যাহতি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। দেওয়ানি আইনেও অপ্রকিতস্থ ব্যক্তির জন্য রয়েছে ভিন্নতর বিধান। চুক্তি আইন অনুসারে অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তি কোনো চুক্তি করতে পারে না। অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় কোনো ব্যক্তি চুক্তি করলে তা চুক্তি আইনের ১৩ ধারা অনুসারে বাতিলযোগ্য হবে। এ ছাড়া তামাদি অথার্ৎ মোকদ্দমা দায়েরের সময়সীমা গণনার ক্ষেত্রেও অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তির জন্য রয়েছে বিশেষ বিধান। তামাদি আইনের ৬ ধারা অনুসারে অপ্রকৃতিস্থতা কোনো মোকদ্দমা দায়েরের ক্ষেত্রে বৈধ অপরাগতা বলে গণ্য হবে এবং প্রকৃতিস্থ হওয়ার পরে মামলায় তামাদি গণনা হইবে। তবে আইনি বিশেষ বিধানের এই সব সুযোগ নেয়া মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। কেননা কোনো ব্যক্তি অপ্রকৃতিস্থ বা অপ্রকৃতিস্থ ছিল কিনা তা প্রমাণের ভার দাবি উত্থাপনকারীর নিজের ওপর। সাক্ষ্য আইনের ১০৫ ধারা অনুসারে যিনি দাবি করেন তাকেই প্রমাণ করতে হবে যে তিনি অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন।