ওজনে কম দিলে প্রতিকার কী?

প্রকাশ | ১০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আইন ও বিচার ডেস্ক ব্যবসা-বাণিজ্য ও লেনদেনের ক্ষেত্রে পরিমাণ এবং ওজনে কমবেশি করা বা ঠকানোর মাধ্যমে জীবিকা উপাজর্ন একটি জঘন্য অপরাধ। মানুষ মাত্রাতিরিক্ত লোভ ও অল্পে তুষ্ট না হওয়ার কারণেই অবৈধ পন্থায় উপাজের্নর পেছনে ছুটে থাকে। তবে পণ্য কিনে নিধাির্রত ওজনে না পেয়ে প্রতারিত হলে ক্রেতা হিসেবে দোকানির বিরুদ্ধে নিতে পারেন আইনি পদক্ষেপ। তাহলে চলুন জেনে নেই ওজনে ঠকলে আইনি প্রতিকার কি এবং ওজনে কম দিলে কি শাস্তি পেতে হবে। এ ক্ষেত্রে দÐবিধির ২৬৪, ২৬৫,২৬৬ ও ২৬৭ ধারা অনুসারে নিকটস্থ মুখ্য মহানগর হাকিম ও মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে ফৌজদারি মামলা করা যাবে। ফৌজদারি আদালতে মামলা করার ক্ষেত্রে অভিযোগ দায়ের করতে হয়। সে অভিযোগ শুনে আদালত অভিযোগ থাকা ব্যক্তিকে আদালতে হাজিরের নিদের্শ দিতে পারেন। সে নিদের্শ মোতাবেক হাজির না হলে, সে ক্ষেত্রে বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন। দÐবিধির ২৬৪ ধারায় ‘ওজনের জন্য প্রতারণামূলকভাবে মিথ্যা যন্ত্র ব্যবহার’ করার বিষয়ে বলা আছে। এ ধারা অনুসারে কোনো ব্যক্তি যদি প্রতারণামূলকভাবে ওজনের জন্য এমন কোনো যন্ত্র ব্যবহার করেন, মিথ্যা বলেন, তবে সেই ব্যক্তি এক বছর পযর্ন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদÐে অথবা অথর্দÐে অথবা উভয় দÐেই দÐিত হবেন। দÐবিধির ২৬৫ ধারা অনুসারে ‘প্রতারণামূলকভাবে মিথ্যা ওজন কিংবা মাপ ব্যবহার’ করার বিষয়ে বলা আছে। এ ধারা অনুসারে, কোনো ব্যক্তি যদি প্রতারণামূলকভাবে কোনো মিথ্যা ওজন কিংবা দৈঘের্্যর বা ধারণশক্তির মাপকে তা অপেক্ষা ভিন্ন ওজন কিংবা দৈঘর্্য বা ধারণশক্তির মাপ হিসেবে ব্যবহার করেন, তবে সেই ব্যক্তি এক বছর পযর্ন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদÐে অথবা অথর্দÐে অথবা উভয় দÐেই দÐিত হবেন। দÐবিধির ২৬৬ ধারা অনুসারে, ‘মিথ্যা ওজন কিংবা মাপ করা’ বিষয়ে বলা আছে। এ ধারা অনুসারে, কোনো ব্যক্তি যদি এমন কোনো ওজন, পরিমাপ যন্ত্র বা বাটখারা কিংবা দৈঘর্্য বা ধারণক্ষমতা মাপবার যন্ত্র রাখে, যা মিথ্যা বলে সে জানে এবং সেটা যাতে প্রতারণামূলকভাবে ব্যবহৃত হতে পারে তার জন্যই রাখে, তবে সেই ব্যক্তির এক বছর পযর্ন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম অথবা বিনাশ্রম কারাদÐে, অথবা অথর্দÐে, অথবা উভয় দÐেই দÐিত হবেন। দÐবিধির ২৬৬ ধারা অনুসারে, ‘মিথ্যা বাটখারা কিংবা মাপ তৈরি কিংবা বিক্রয় করা’ বিষয়ে বলা আছে। এ ধারা অনুসারে, কোনো ব্যক্তি যদি এমন কোনো ওজন বা বাটখারা কিংবা দৈঘর্্য বা ধারণশক্তির পরিমাপ যন্ত্র তৈরি করেন, বিক্রয় করেন বা লেনদেন করেন, যা মিথ্যা বলে তিনি জানেন এবং তা যাতে সত্য বলে ব্যবহার করা যায়, সে উদ্দেশ্যেই সেটা করেন অথবা সেটা সত্য বলে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাহলে যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদÐে অথবা উভয় দÐেই দÐিত হবেন। ওজনে কারচুপি, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রে কারচুপি, পরিমাপে কারচুপি, দৈঘ্যর্ পরিমাপক ফিতা বা অন্য কিছুতে কারচুপি করা হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আবেদন করেও দ্রæত প্রতিকার পাওয়া যায়। প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাযার্লয় রয়েছে। সেখানে এ সম্পকির্ত অভিযোগ লিখিত আকারে দায়ের করা যায়। আবার জেলা শহরগুলোতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) বরাবর এই আবেদন দাখিল করা যায়। এ ধরনের অভিযোগ দ্রæত আমলে নিয়ে প্রতিকার করা হয়ে থাকে। ওজনে কম দেয়া দোকান বা প্রতিষ্ঠানকে যদি জরিমানা করা হয়, তার ২৫ শতাংশ অভিযোগকারী পেয়ে থাকেন।