লাইভস্ট্রিমিং চলাকালীন স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুন, দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির মৃতু্যদন্ড কার্যকর চীনে
প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
ম আইন ও বিচার ডেস্ক
সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভস্ট্রিমিং চলাকালীন স্ত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারার অপরাধে এক ব্যক্তির মৃতু্যদন্ড কার্যকর করলেন চীনের আদালত।
গত শনিবার চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ওই মৃতু্যদন্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। ছোট্ট বিবৃতিতে সরকারি আধিকারীকেরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি যে ধরনের অপরাধ করেছে, তার জন্য চূড়ান্ত শাস্তিই তার প্রাপ্য।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে ঘটনার সূত্রপাত। বিয়ের পর থেকেই তাং লু নামে ওই ব্যক্তি তার স্ত্রী হামোকে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ। ২০২০ সালের জুনে তাদের আইনি বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার পর থেকে হামোকে ফের বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করে তাং। বছর ত্রিশের হামো প্রতি বারই তাংকে ফিরিয়ে দেন।
কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত হামো সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা বিষয়ে লাইভস্ট্রিমিং করতেন। প্রত্যাখ্যাত তাং সে বছর সেপ্টেম্বরে এক দিন জোর করে হামোর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। হামো সে সময়ে লাইভ স্ট্রিমিং করছিলেন। স্ট্রিমিং-এর মাঝে তাং তাঁর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় হামোকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সপ্তাহখানেক পরে তার মৃতু্য হয়।
এ ঘটনায় চীনসহ গোটা বিশ্বে বিক্ষোভের ঝড় ওঠে। মহিলাদের নিরাপত্তা ঘিরে বিশ্বের সামনে মুখ পোড়ে চীনেরও। ২০০১ সাল পর্যন্ত চীনের আইনে গার্হস্থ্য হিংসাকে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য পর্যাপ্ত কারণ বলে গণ্য করা হতো না। ২০১৫ সালে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি, মানসিক নির্যাতনও গার্হস্থ্য হিংসা সংক্রান্ত আইনের আওতায় আসে। বহু ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, নির্যাতিতাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকার। হামোর মৃতু্যর পরে গ্রেপ্তার করা হয় তাংকে। গত বছর অক্টোবরে তাকে মৃতু্যদন্ড দেন আদালত।